Chaos at School: স্কুলের গেটে ঝুলছে কন্ডোম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 01, 2022 | 11:20 AM

School: সূত্রের খবর, এদিন সকালে গেট খুলতে এসে দৃশ্য দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠে সকলের।

Chaos at School: স্কুলের গেটে ঝুলছে কন্ডোম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা
স্কুলে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রায়দিনই স্কুলের গেটে নোংরা লাগিয়ে দেয় কেউ। এমনকী বর্জ্য পদার্থ ছুড়ে মারে স্কুলের বারান্দায়। মল পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে স্কুলের ভিতরে। কিন্তু বৃহস্পতিবার শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছে। স্কুলের গেটে তালা। সেই তালার পাশে ঝুলছে কন্ডোম। এই ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই শুরু হয় দেগঙ্গার কলসুর গ্রামপঞ্চায়েতের মগরা জুনিয়ার এফপি স্কুলে। এই পরিবেশে ছেলেমেয়েদের পড়ানো দুষ্কর বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাতের অন্ধকারে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন, এলাকার লোকজন এগিয়ে না এলে কোনওভাবেই তা আটকানো সম্ভব নয়। এদিন স্কুলের অভিভাবকরা সাদা কাগজে ‘নোংরামিমুক্ত বিদ্যালয় চাই। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই’ লিখে স্থানীয় রাস্তা অবরোধে নামেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলসুর পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, এদিন সকালে গেট খুলতে এসে দৃশ্য দেখে কার্যত চোখ কপালে ওঠে সকলের। এদিকে ততক্ষণে একে একে পড়ুয়ারা আসতে শুরু করেছে। ভিড় জমছে স্কুলের সামনে। অভিভাবকরা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। কেউ আবার হাত ধরে বাচ্চা নিয়ে বাড়িও চলে যান। প্রধান শিক্ষক জানান, তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল তখন। গেট না খুললে বাচ্চাগুলো ভিজে যেত। তাই বাধ্য হয়ে নোংরা সরিয়ে স্কুলের মেইন গেট খোলা হয়। কিন্তু বিষয়টা যে সীমা পার করে যাচ্ছে, এদিন ক্ষোভের সুরেই বলেন তিনি।

এক অভিভাবক নমিতা দাস বলেন, “আজ স্কুলে যা নোংরামি হল অবরোধ করতে আমরা বাধ্যই হয়েছি। গিয়ে দৃশ্যটা দেখে আসুন, ওখানেই তো রয়েছে। এটা স্কুল, পবিত্র জায়গা। এখানে শিক্ষা দেওয়া হয়। নোংরামির পাঠ দিতে আসে না কেউ। আমাদেরই লজ্জা লাগছে। ভাবতে হবে এমন স্কুলে সন্তানদের পাঠাব কি না। আমরা চাই স্কুলে একটা গেট বসুক। পাঁচিলটা আরও উঁচু করা হোক। বাইরের লোকজন যাতে না ঢুকতে পারে।”

প্রধান শিক্ষক পলাশ ঘোষের কথায়, বলেন, “অভিভাবকরাই বললেন, এভাবে স্কুল চালানো যায় না। ওনারা ঠিকই তো বলেছেন। তাই ওনারা রাস্তা অবরোধ করেন। পরে পুলিশও আসে। পুলিশ বলছে, ম্যান পাওয়ার কম। একই এলাকায় অনেক স্কুল। সব তো পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। স্থানীয়দের সহযোগিতা দরকার। এটা ঠিক স্থানীয়দের ভূমিকা অনেক। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকাও তো এড়িয়ে যাওয়ার নয়। সেটা ওনাদের দেখতেই হবে। না হলে স্কুল চালানো তো কঠিন।”

পলাশ ঘোষ জানান, এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, “মল পর্যন্ত স্কুলের বারান্দায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী স্কুলের গেটে নোংরা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায়ই এরকম হয়। এসব রাতের অন্ধকারে হয়। স্কুল কমিটি থাকলেও তাদের পক্ষে তো তা ধরা সম্ভব না। এটা এলাকার লোকজন, প্রশাসন ছাড়া কেউই রুখতে পারবে না। আমি এসআইকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।”

Next Article