উত্তর ২৪ পরগনা: অবশেষে ৩ কোটি টাকার সোনা-সহ মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ। গত মাসের ২৬ তারিখের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁকে জেরা করে বাকিদের গ্রেফতার করে বরানগর থানার পুলিশ। প্রায় ৫ কেজি সোনার বিস্কুট ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার সোনার জিনিস উদ্ধার হয়েছে। গত ২৬ এপ্রিল গোলক পারিদার নামে এক ব্যক্তি দাসপুর থেকে ৫ কেজি সোনা নিয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন। বরানগর বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিসিআর ব্রিজের কাছে পাঁচজন তাঁর গাড়ি আটকায়। সেই সোনার সামগ্রী ছিনতাই করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। রাতেই গোলক পারিদার বরানগর থানায় অভিযোগ জানান।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে বরানগর থানার পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় দাসপুর পুলিশের সঙ্গে। এরপরই পুলিশের স্ক্যানারে আসেন সফিউল ইসলাম নামে একজন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সফিউলকে দফায় দফায় জেরায় উঠে আসে বাকিদের খোঁজ। মোট ৬ জন গ্রেফতার হন। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ কেজি সোনার বিস্কুট ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করেছে বরানগর থানার পুলিশ। যার আনুমানিক বাজার দর ৩ কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সফিউল মেদিনীপুর দাসপুরে সোনার কারিগর হিসাবে কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গোলক পারিদার বিপুল সোনা নিয়ে কলকাতা আসার খবর ছিল সফিউলের কাছে। তিনিই গোটা ঘটনার ঘুঁটি সাজান বলে অভিযোগ। শনিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।