উত্তর ২৪ পরগনা: ফের ইডি, সিবিআই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শ্যামনগরে তৃণমূলের এক জনসমাবেশ থেকে এক যোগে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তোপ দাগেন তিনি। অভিষেকের দাবি, বিজেপি সিবিআই, ইডিকে হাতিয়ার করে হারের জ্বালা মেটাতে চায়। গত বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লির বিজেপি নেতারা এসে ‘অবকি বার ২০০ পার’ বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা ১০০-ও পার করতে পারেনি। এরপরই প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে চার মন্ত্রী, প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে।
এদিন অভিষেক বলেন, “বিজেপি সবাইকে ইডি সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে আটকে রেখেছে। আমায় ক’বার ডেকেছে, আমি দু’বার দিল্লি গেছি। কোনও প্রোটেকশন ছাড়াই গেছি। আমি নিরাপত্তা চাইওনি। আমি প্রথম দিন যা বলেছি, আজও তাই বলছি। আমার বিরুদ্ধে যদি কিছু প্রমাণ করতে পার, কোনও ইডি সিবিআই লাগবে না। ফাঁসির মঞ্চ করবে আমি মৃত্যুবরণ করব। দেড় বছর আগে বলেছিলাম, আজও এটাই বলছি। হেরে যাওয়ার পর চারটে মন্ত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করল। কেন, তাঁদের নারদায় দেখা গিয়েছে। এদিকে সুদীপ্ত সেন যাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করে চিঠি লিখেছে। তোমার সবথেকে বড় তোলাবাজ হিরো, তোমার সবথেকে বড় তোলাবাজির নায়ককে গ্রেফতার করা হল না কেন?এই সিবিআই নিরপেক্ষ?”
এর আগে একাধিকবার সিবিআইয়ের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এ রাজ্যের শাসকদল। তাদের বক্তব্য, সিবিআই যদি এতটাই শক্তিশালী হয়, তা হলে এতগুলো বছরেও কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হারানো নোবেলের কোনও কিনারা হল না? এদিনও অভিষেকের কথায় সে প্রসঙ্গ উঠে আসে। অভিষেক বলেন, ” বলছে এসএসসি নিয়ে সিবিআই দিয়েছে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে জ্বালা। আরে আমার কোনও গায়ে জ্বালা নেই। এসএসসি, পিএসসি, সারদা,নারদা যা ইচ্ছে সিবিআই দাও। আমার কাঁচকলা। কিচ্ছু যায় আসে না। সবকিছুতে সিবিআই দাও। কিন্তু সিবিআইয়ের গ্রহণযোগ্যতা কী? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির তদন্ত তো ১৮ বছর হয়ে গেল। ২০০৪ সাল থেকে চলছে। ফিরিয়ে আনতে পেরেছ? এই সারদায় যাদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে বলেছিল, দোষী বলেছে, একদিনের জন্য ডাকেনি।” একইসঙ্গে অভিষেকের কড়া সুর, ” মদন মিত্র সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে বসেছিলেন বলে, তিন বছর জেলে রেখেছেন। নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একই মঞ্চে ছিলেন, তাঁর জেল হবে না কেন? এই দ্বিচারিতা কেন?”