সন্দেশখালি: রাজ্যপাল ও মহিলা কমিশনের সামনে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলারা। জানিয়েছেন, দিনের পর দিন কতটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে, সেই বর্ণনা দিয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা। এবার সেই এলাকায় পৌঁছলেন জাতীয় তফশিলি জাতি-উপজাতি কমিশনের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার সকালে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছে যায় কমিশনের একটি টিম। তাঁদের সামনে দেখেই ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলারা। কী কী হত তাঁদের সঙ্গে, কাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সব জানালেন ওই প্রতিনিধিদের।
কমিশনের চেয়ারম্যানের সামনে এক বৃদ্ধ বলেন, “পুরুষেরা বাড়িতে থাকতে পারে না। ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। রাত ১০ টায় যখন মহিলাদের মিটিং-এ ডেকে নিয়ে যায় তখন পুরুষেরা বাড়িতে থাকত। এটা কি কোনও নীতি?”
মহিলাদের নির্ভয়ে কথা বলতে বলেন অরুণ হালদার। রাতের অন্ধকারে কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, সে কথাও প্রতিনিধিদের বলতে থাকেন মহিলারা। এক মহিলা বলেন, ‘হাত ধরে টানাটানি করত। আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হাত ধরে টেনেছিল উত্তম সর্দার। কোনও রকমে পালিয়ে আসি। বাড়িতে আমার চার সন্তান আছে। খুব ভয়ে আছি।’
কমিশনের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘কমিশন কাউকে ভয় পায় না। আমরা আশ্বাস দিচ্ছি আর কোনও খারাপ হতে দেব না। আমরা রাষ্ট্রপতিকে অভিযোগ জানাতে চাই।’
এর আগে রাজ্য মহিলা কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনও গিয়েছে সন্দেশখালিতে। মহিলা কমিশনের কাছেও একের পর এক অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলারা। এদিকে, বৃহস্পতিবারই সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।