ঝুপখালি: আবারও একটা জনরোষের ছবি সন্দেশখালি সংলগ্ন এলাকায়। এলাকা জুড়ে যখন পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে, পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যখন এলাকায় টহল দিচ্ছেন, তখন নতুন করে রাস্তায় নামছেন গ্রামের মহিলারা। সন্দেশখালি, জেলিয়াখালির পর এবার ঝুপখালি। এবার গ্রামবাীদের নিশানায় শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন, যিনি সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত এলাকা। ‘আমার দোকান নিয়ে নিয়েছে…’, ‘আমার জায়গা নিয়ে নিয়েছে…’, কার্যত গোটা এলাকাই নাকি দখল করে নিয়েছেন সিরাজ। এমন অভিযোগ তুলেই ময়দানে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সিরাজুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েই এদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নামে মহিলারা। দুপুর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় বেড়মজুরের ঝুপখালিতে। এলাকার অন্তত ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেগুলি থেকে গ্রামবাসীদের উৎখাত করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। মহিলারা বলছেন, তাঁদের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়ে তা আবার বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাতে আর ভেড়ি না হয়, সেই দাবি নিয়েই রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন গ্রামবাসীরা।
ভেড়ি ভাঙচুর করা হয় এদিন, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সিরাজ উদ্দিনের অফিসে। ডিআইজি বারাসত ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বড় পুলিশ বাহিনী সন্দেশখালির দিকে রওনা হয়।
পুলিশ কর্তাদের সামনে পেয়েই গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। এক মহিলা বলেন, ‘ওর ফাঁস চাই। ওর হাতে পায়ে ধরে বলেছিলাম, আমার বাপের বাড়ির জমি নিও না। সব দখল করে নিয়েছে।’ ছোট সন্তানদের নিয়ে কীভাবে দিন কাটাতে হয়েছে, সেই কাহিনিও বলছেন মহিলারা। পুলিশের কাছে তাঁদের প্রশ্ন, আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন, যখন আদিবাসী গ্রামবাসীদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে পেটানো হয়েছিল।