উত্তরবঙ্গ: বিজেপির ডাকে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বনধ। বনধকে সফল করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে গেরুয়া শিবির। সকাল থেকেই শিলিগুড়ি, মালদহ, কোচবিহার-সহ উত্তরের একাধিক জায়গায় পথে নেমেছেন বনধ সমর্থকরা। কোথাও বাস আটকে, কোথাও রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। রাস্তাঘাট থমথমে। প্রতিটি জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিস। এখনও বড় কোনও গোলমালের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী উলানকে পাশে দাঁড়িয়ে কেউ গুলি করেছিল: রাজ্য পুলিস
সোমবার সকাল থেকেই বিজেপির যুবমোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি। এদিন মূলত দু’টি বড় মিছিল করে শহরে ঢোকার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। মিছিলের পুরভাগে ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সৌমিত্র খাঁ, তেজস্বী সূর্যরা। মিছিল যখন উত্তরকন্যা থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে তিনবাত্তি মোড়ে, তখনই তা আটকে দেয় পুলিস। শুরু হয় কথাকাটাকাটি। মুহূর্তে তা চরম আকার নেয়।
আরও পড়ুন: ঝরল রক্ত, ঝরল প্রাণ! বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের কিছু এক্সক্লুসিভ দৃশ্য
ব্যারিকেড ভাঙতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির লোকজন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের অভিযান রুখতে পুলিস লাঠি চার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। তাতেই গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় এক বিজেপি কর্মীর।
ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তরবঙ্গ। ধীরে ধীরে সেই উত্তাপ এসে পৌঁছয় দক্ষিণবঙ্গেও। হুগলি, নদিয়া থেকে মেদিনীপুর, পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব দাবি করেন , পুলিস ছররা গুলি চালিয়েছে। তাতেই উলেন রায় নামে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ স্তব্ধ করার ডাক দেয় বিজেপি।