ঝরল রক্ত, ঝরল প্রাণ! বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের কিছু এক্সক্লুসিভ দৃশ্য

কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, লাঠি, রাবার বুলেট আর ইটবৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিনবাত্তি এবং ফুলবাড়ি মোড়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিজেপি নেতারা আশঙ্কা করা শুরু করেছেন।

| Updated on: Dec 07, 2020 | 6:41 PM
বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে তুলকালাম হল উত্তরবঙ্গে। মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি। শহরে ঢোকার মুকে বিভিন্ন রাস্তায় দফায়-দফায় পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে তুলকালাম হল উত্তরবঙ্গে। মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি। শহরে ঢোকার মুকে বিভিন্ন রাস্তায় দফায়-দফায় পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

1 / 13
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তরাই-ডুয়ার্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, লাঠি, রাবার বুলেট আর ইটবৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিনবাত্তি এবং ফুলবাড়ি মোড়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিজেপি নেতারা আশঙ্কা করা শুরু করেছেন।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তরাই-ডুয়ার্সের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, লাঠি, রাবার বুলেট আর ইটবৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তিনবাত্তি এবং ফুলবাড়ি মোড়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে বিজেপি নেতারা আশঙ্কা করা শুরু করেছেন।

2 / 13
দুদিক দিয়ে সোমবার উত্তরকন্যার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। সেই দুই জমায়েত স্থলে পৌঁছনোর জন্য দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার তো বটেই, দুই দিনাজপুর থেকেও বিজেপি কর্মীরা শিলিগুড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এদিন প্রথমে তরাই ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকাতেই বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকে দিতে শুরু করে পুলিস।

দুদিক দিয়ে সোমবার উত্তরকন্যার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। সেই দুই জমায়েত স্থলে পৌঁছনোর জন্য দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার তো বটেই, দুই দিনাজপুর থেকেও বিজেপি কর্মীরা শিলিগুড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এদিন প্রথমে তরাই ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকাতেই বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকে দিতে শুরু করে পুলিস।

3 / 13
উত্তেজনা তখন থেকেই বাড়ছিল। মিছিল দুটি শুরু হওয়ার পরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জলপাইগুড়ি মোড় থেকে যে মিছিলটি শুরু হয়েছিল, সেটির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়।

উত্তেজনা তখন থেকেই বাড়ছিল। মিছিল দুটি শুরু হওয়ার পরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জলপাইগুড়ি মোড় থেকে যে মিছিলটি শুরু হয়েছিল, সেটির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়।

4 / 13
যুবমোর্চার ব্যানারে এই উত্তরকন্যা অভিযান হচ্ছিল, ছিলেন যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য এবং রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খানও। উত্তরকন্যার চার কিলোমিটার আগে তিনবাত্তি মোড়েই সে মিছিল আটকায় পুলিস। খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সেখানেই।

যুবমোর্চার ব্যানারে এই উত্তরকন্যা অভিযান হচ্ছিল, ছিলেন যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য এবং রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খানও। উত্তরকন্যার চার কিলোমিটার আগে তিনবাত্তি মোড়েই সে মিছিল আটকায় পুলিস। খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সেখানেই।

5 / 13
বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙা শুরু করতেই পুলিস জলকামান চালানো শুরু করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তেজস্বী, তাঁকে দ্রুত গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যুবনেতা অপসৃত হলেও তিনবাত্তি মোড় শান্ত হয়নি।

বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙা শুরু করতেই পুলিস জলকামান চালানো শুরু করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তেজস্বী, তাঁকে দ্রুত গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যুবনেতা অপসৃত হলেও তিনবাত্তি মোড় শান্ত হয়নি।

6 / 13
পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। মূল রাস্তা ছেড়ে গলি দিয়ে বিজেপি কর্মীরা উত্তরকন্যার দিকে এগনোর চেষ্টা করতে থাকেন। ফলে শহরের বিভিন্ন গলিও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। মূল রাস্তা ছেড়ে গলি দিয়ে বিজেপি কর্মীরা উত্তরকন্যার দিকে এগনোর চেষ্টা করতে থাকেন। ফলে শহরের বিভিন্ন গলিও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

7 / 13
এভাবেই সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি।

এভাবেই সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি।

8 / 13
প্রথমে দিলীপ-সায়ন্তনদের সঙ্গে বচসা হয় পুলিসের। পরে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হতেই ফুলবাড়ি মোড়েও কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট চলতে শুরু করে। সায়ন্তনের দাবি, পুলিস সেখানে গুলিও চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মীর মাথা ফেটেছে ও হাত-পা ভেঙেছে বলেও তিনি জানান।

প্রথমে দিলীপ-সায়ন্তনদের সঙ্গে বচসা হয় পুলিসের। পরে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হতেই ফুলবাড়ি মোড়েও কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট চলতে শুরু করে। সায়ন্তনের দাবি, পুলিস সেখানে গুলিও চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মীর মাথা ফেটেছে ও হাত-পা ভেঙেছে বলেও তিনি জানান।

9 / 13
ফুলবাড়িতে খণ্ডযুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে উলেন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়। দিলীপ ঘোষের দাবি, পুলিসের লাঠির ঘায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে সায়ন্তন জানান, ওই মৃত্যু রাবার বুলেটের ঘায়ে। মৃতের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্নও দেখা গিয়েছে।

ফুলবাড়িতে খণ্ডযুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে উলেন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়। দিলীপ ঘোষের দাবি, পুলিসের লাঠির ঘায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে সায়ন্তন জানান, ওই মৃত্যু রাবার বুলেটের ঘায়ে। মৃতের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্নও দেখা গিয়েছে।

10 / 13
ফুলবাড়িতে খণ্ডযুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে উলেন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়। দিলীপ ঘোষের দাবি, পুলিসের লাঠির ঘায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে সায়ন্তন জানান, ওই মৃত্যু রাবার বুলেটের ঘায়ে। মৃতের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্নও দেখা গিয়েছে।

ফুলবাড়িতে খণ্ডযুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে উলেন রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়। দিলীপ ঘোষের দাবি, পুলিসের লাঠির ঘায়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে সায়ন্তন জানান, ওই মৃত্যু রাবার বুলেটের ঘায়ে। মৃতের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাতের চিহ্নও দেখা গিয়েছে।

11 / 13
সায়ন্তন বলেন, “আমাদের মিছিলকে এগোতে না দেওয়ার জন্য যত রকম ভাবে বলপ্রয়োগ করা যায়, পুলিস সব রকম করেছে। একটা সম্পূর্ণ গণতন্ত্রহীন সরকার চলছে। একজনের মৃত্যুর খবর আপনারা পেয়েছেন। তবে আমাদের আশঙ্কা, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ অন্তত ৫০ জন বিভিন্ন এলাকায় জখম হয়েছেন।“

সায়ন্তন বলেন, “আমাদের মিছিলকে এগোতে না দেওয়ার জন্য যত রকম ভাবে বলপ্রয়োগ করা যায়, পুলিস সব রকম করেছে। একটা সম্পূর্ণ গণতন্ত্রহীন সরকার চলছে। একজনের মৃত্যুর খবর আপনারা পেয়েছেন। তবে আমাদের আশঙ্কা, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ অন্তত ৫০ জন বিভিন্ন এলাকায় জখম হয়েছেন।“

12 / 13
ফুলবাড়ি থেকে মিছিলকে পুলিশ আর এগোতে না দেওয়ায় কাছেই একটি সরকারি অতিথি নিবাসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। পুলিস প্রথমে তাঁকে সেদিকেও এগোতে বাধা দেয়। তা নিয়ে আর এক দফা উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পরে দিলীপ গাড়ি থেকে নেমে অতিথি নিবাসের দিকে চলে যান। ছবি- প্রসেনজিৎ চৌধুরী

ফুলবাড়ি থেকে মিছিলকে পুলিশ আর এগোতে না দেওয়ায় কাছেই একটি সরকারি অতিথি নিবাসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। পুলিস প্রথমে তাঁকে সেদিকেও এগোতে বাধা দেয়। তা নিয়ে আর এক দফা উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পরে দিলীপ গাড়ি থেকে নেমে অতিথি নিবাসের দিকে চলে যান। ছবি- প্রসেনজিৎ চৌধুরী

13 / 13
Follow Us: