ঘাটাল: বন্যার জলে যখন ভাসছে ঘাটাল। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন সাধারণ মানুষ। সেই সময় যেন আরও বেশি-বেশি করে এই প্রশ্ন চাগাড় দিচ্ছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কবে হবে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। দেড় হাজার কোটি টাকা লাগবে। বছর দুয়েকের মধ্যেই মাস্টার প্ল্যান করে দেব।” তবে ঘাটালের সাংসদ দেবের মুখে শোনা গেল অন্য কথা। তিনি আবার জানালেন, “আমার মনে হয় না দু’বছরের মধ্যে এই প্ল্যান শেষ হবে।”
এ দিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ উঠতেই দেবকে বলতে শোনা যায়, প্রথমে বুঝতে হবে এই প্ল্যান কী। তিনি বলেন, “তিন মাসের মধ্যে এই মাস্টার প্ল্যান করা সম্ভব নয়। ১৯৫৯ যখন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করেছিলেন সেই সময় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে ছিল নদীগুলি বড় হওয়া। তখন নদীর পাশে এত শহর ছিল না। এখন নদীর পাশেই বড় বড় বিল্ডিং, বাজার, স্কুল, হাসপাতাল তৈরি হয়ে আছে। এরপর একটি প্ল্যান বেরিয়েছিল দুটি নদীকে কানেক্ট করা। কিন্তু এখন পলি পড়েছে। রয়েছে অনেক চাষের জমি। আর এই জমি জোর করে নেওয়া যাবে না। তাঁদের সঙ্গে কথা চলছে। অনেকগুলো বাজার ভাঙতে হবে। সেচ দফতরের কাজ চলেছে। অনেকগুলো বিভাগ যুক্ত রয়েছে। এটা এত সহজ প্রকল্প নয়।”
এরপরই তৃণমূল সাংসদ বলতে শুরু করেন, “দেব রাজনীতি ফিরেছে কারণ দিদি কথা দিয়েছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে তাই। দিদি নিজে এসে বলছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দু’বছরের মধ্যে হবে। কিন্তু আমার মনে হয় না সেটা শেষ হবে। এটা অনেক বড় প্রসেস। আমি ফিরে এসেছি রাজনীতিতে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য।” দেব আশ্বাস দিয়েছেন, “তবে আমি বলছি ২০২৬ মধ্যে যদি এই মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু না হয় তাহলে প্রচার করব না। আমার বিশ্বাস এই সরকার এই দল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবিক করবে। তবে সেচ দফতরের থেকে যা শুনেছি জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু হবে।”