বোলপুর: শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালে মুকুল রায়কে দিয়ে। এরপর একে একে অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সর্বশেষ সংযোজন শুভেন্দু অধিকারী। এক সময় যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তারকা মুখ ছিলেন, তাঁরাই এখন বিজেপির (BJP) নতুন মুখ। যাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করতে বিজেপি উত্থান, তাঁরাই এখন বিজেপির বড় শক্তি। একুশের ভোটের আগে মানুষ কি এই বিষয়টা ভালভাবে নেবে! রবিবার বোলপুরের সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) কাছেও।
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তৃণমূলের পুরনো মুখগুলোই তো বর্তমানে বিজেপির নতুন মুখ। মানুষকে ফারাকটা বোঝাবেন কীভাবে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিজেপি অনেক পুরনো দল। আর তৃণমূল নেতৃত্বের পন্থা নিয়েই সওয়াল রয়েছে। সবার ভাইপো রাজনীতিতে থাকে না। আর বিজেপির সংস্কৃতি পরিবারপ্রথা নেই, দুর্নীতি নেই, তোলাবাজির সংস্কৃতিও নেই। মূল পার্থক্য হবে নেতৃত্বের।’
আরও পড়ুন: বাউলের সংসার চলে রেশনের চালে, শাহের পাতে মিনিকেট
ইদানীং সারদা-নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত এমন নেতাদেরও দলে শামিল করতে পিছপা হয়নি বিজেপি। সমালোচকদের একাংশ প্রায়ই ঠাট্টার মেজাজে বলে থাকেন, বিজেপিতে গেলেই কি দুর্নীতির কালিমা মুছে যায়? এক সময় সে সব নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এখন সেই নেতাদের তাহলে কেন দলে টেনে নিচ্ছে পদ্মশিবির? অমিতের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘যারা বিজেপিতে আছেন বা আসতে চলেছেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইন সকলকেই এক চোখে দেখবে। বিজেপি যোগ দিলেই কেউ আইনের উপরে উঠে যাবেন, এমন দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: করোনার গেরোয় সিএএ, একুশের আগেই কি কার্যকর? ‘ক্রোনোলজি’ বোঝালেন অমিত