দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোট চতুর্থীতে ফের মৃত্যু (Dead)। শনিবার সকালে ভোট দিতে এসে আচমকাই মারা গেলেন এক প্রৌঢ়। কিন্তু কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। চাঞ্চল্য মহেশতলার সন্তোষপুরে।
জানা গিয়েছে, মৃত শেখ জব্বর সন্তোষপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা। শনিবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর সেবক সংঘের ৩২ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান বছর সাতান্নর ওই প্রৌঢ়। লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্ত নিয়ম মেনে ভোটও দিয়েছিলেন জব্বর। ফেরার পথে আচমকাই রাস্তায় পড়ে যান প্রৌঢ়। ঘটনাস্থলেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু (Dead) হয় তাঁর। রাস্তার মাঝে এইভাবে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন জব্বরের ছেলে। জব্বরকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, শারীরিকভাবে মোটামুটি সুস্থই ছিলেন জব্বর। কিন্তু হঠাৎ এভাবে মৃত্যু হতে পারে তা ভাবেননি কেউ। জব্বরের পারিবারিক চিকিৎসকের প্রাথমিক অনুমান, আচমকা হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ়ের। মৃতদেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবারই ভোট দিতে গিয়ে সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানের গুলিতে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী জোড়পাটকি এলাকায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের। হিংসার নিরিখে কার্যত ভোট চতুর্থীর লাইমলাইটে শীতলকুচি। দফায় দফায় সংঘর্ষ উত্তেজনার জেরে ভোট স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেয় কমিশন। তড়িঘড়ি চাওয়া হয় রিপোর্টও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে শীতলকুচিকে (Shitalkuchi) অবহেলা করতে পারছে না শাসক বা বিরোধী শিবির। জানা গিয়েছে, আগামিকালই ঘটনাস্থলে যাবেন মুখ্য়নমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।