TMC: কোপাই নদীর তীরে বিনা অনুমতি ৫০-৬০টি গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় শাসকদল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Apr 09, 2023 | 1:25 AM

জনগণের জায়গার উপরই গাছ লাগানো হয়েছিল। যাঁর জায়গা তিনি জায়গাটি বিক্রি করে দিতে চাইছেন।

TMC: কোপাই নদীর তীরে বিনা অনুমতি ৫০-৬০টি গাছ কাটার অভিযোগ, কাঠগড়ায় শাসকদল
কোপাই নদীর তীরে কেটে ফেলা হল একাধিক বড় গাছ।

Follow Us

সিউড়ি: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের অভিযোগের কাঠগড়ায় শাসকদল। ফের সেই বীরভূম (Birbhum)। এবার সরকারি প্রকল্পের অধীনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লাগানো গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। ৫০ থেকে ৬০টি বড় গাছ কেটে ফেলা হয় এবং গাছ কাটার ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বীরভূমের পাঁড়ুই থানার শেহালা গ্রামে এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরাও। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁড়ুই থানার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের শেহালা গ্রামে সরকারি টাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে কয়েকশো গাছ লাগানো হয়েছিল৷ কোপাই নদীর তীরবর্তী এলাকায় কয়েক বছর আগে গাছগুলি লাগানো হয়। বর্তমানে সেগুলি মহীরূহ হয়ে উঠেছিল। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া সেই গাছগুলি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে কোপাই নদীর তীরে গাছগুলি কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বন বিভাগের আধিকারিকেরা। কোপাই নদীর তীরে পড়ে থাকা গাছগুলির খণ্ডাংশ বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। তবে গাছগুলি কারা কেটেছিলেন, তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে বন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।

যদিও কোপাই নদীর তীরে গাছগুলি কেটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে গ্রামবাসী। এই ঘটনায় পঞ্চায়েতের সমর্থন রয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে গ্রামবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত কোর কমিটির সদস্য প্রিয় মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, জনগণের জায়গার উপরই গাছ লাগানো হয়েছিল। যাঁর জায়গা তিনি জায়গাটি বিক্রি করে দিতে চাইছেন। সেজন্য তিনিই গাছ কাটিয়েছেন। এব্যাপারে বন বিভাগের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন তিনি। যদিও উল্টো সুর শোনা গেল বিধায়কের গলায়। গাছ কাটার বিষয়টি সমর্থন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, “প্রশাসনের মতো আমরাও গাছ কাটার বিষয়টি সমর্থন করি না। বন বিভাগ গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে।”

অন্যদিকে, গাছ কাটার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, “জেলাজুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কোথাও পঞ্চায়েতের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে, কোথাও অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। গাছ কাটার ব্যাপারে বন দফতরের অনুমতি নেওয়া উচিত হলেও নিচ্ছে না। তৃণমূল স্তরেই গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে।”

Next Article