আসানসোল: কয়লাখনির মাঝপথে ডুলি খারাপ হয়ে ঘটল বিপত্তি। প্রায় তিন ঘণ্টা খনিতে আটকে থাকলেন ২০ জন শ্রমিক। পরে ডুলি থেকে তাঁদের নামিয়ে খনির ভিতর হাঁটা পথ দিয়ে তাঁদেরকে ঘুরিয়ে বের করে আনা হয়। রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে ঘটেছে এই ঘটনা।
রানিগঞ্জের কুনুস্তরিয়া এলাকার অন্তর্গত অমৃতনগর কোলিয়ারির তিন নম্বর পিটে, নাইট শিফটের কাজ সেরে খনির উপরে উঠছিলেন ২০ জন শ্রমিক। একটি ডুলিতেই উঠছিলেন ওই ২০ জন। কিন্তু মাঝপথে ডুলি খারাপ হয়ে যায়। এর জেরে কয়লাখনির শ্রমিকরা খনিগর্ভের ঘন অন্ধকারের মধ্যে আটকে পড়ে। অভিযোগ ওই এলাকায় প্রচণ্ড গরম থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয় তাঁদের। প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানেই আটকে ছিলেন তাঁরা। ডুলি মেরামত করা হলেও তা উপরে উঠছিল না। তাই সেটিকে ফের নীচের দিকেই নামানো হয়। এর পর আটকে থাকা শ্রমিকদের নামিয়ে হাঁটা পথে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে পড়েছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকরা।
খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এই খনিতে। বিষয়টি নিয়ে বার বার বলা সত্ত্বেও যান্ত্রিক গোলযোগ মেটেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। রবিবার খনিতে আটকে পড়া বাবলা শেঠ, রঞ্জিত তিওয়ারি, রাজীব তিওয়ারি, অশোক মিশ্ররা বলেছেন, “খনি কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যে জায়গায় আমরা আটকে ছিলাম সেখানে অক্সিজেন কম ছিল। তিন ঘণ্টা আমরা আটকে ছিলাম সেখানে। তার পর আমাদেরকে খনির ভিতরের অন্য রাস্তা দিয়ে বের করে আনা হয়। প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার হাঁটার পর আমরা খনিগর্ভের মুখে আসতে পারি।”
কুনুস্তরিয়া এলাকার জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার সিং এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ইসিএলের সদর দফতর সূত্রে খবর, ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ডুলিটি ত্রুটিমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।