দুর্গাপুর: ‘ইঞ্জেকশনকাণ্ডে’ অসুস্থ চার শিশুকে স্থানান্তরিত করা হল CCU ( ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট)-এ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ১৪ শিশুর মধ্যে গতকাল রাত পর্যন্ত ১১ শিশুর অবস্থার উন্নতি হয়। এরপর আজ সকালে বাকি চার শিশুকে শিশু বিভাগ থেকে স্থানান্তিরিত করে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল বহু শিশু। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধে নাগাদ আসে খারাপ খবর। শিশুদের ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠে দুর্গাপুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। যার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে একের পর এক শিশু। গতকাল দুপুরের পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের অসুস্থতা বেড়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শিশুদের পরিজনরা।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ৪৫ জন শিশু ভর্তি ছিল। যার মধ্যে গুরতর অসুস্থ হয় ১৫জন। গতকাল, এক শিশুর মা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তানের হাতে চ্যানেল করা ছিল। সেই চ্যানেলে দেওয়া হয় ভুল ইঞ্জেকশন। সেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই অসুস্থ হতে শুরু করে শিশুটি। শুরু হয় খিঁচুনি। শুধু সেই বাচ্চাটিই নয়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫ শিশু।
ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল সুপার জানান, “শিশুদের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা যেভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছেন এতটাও চিন্তার বিষয় নয়।”
ঘটনাস্থানে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের নিউটাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে কী ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে প্রশ্ন করায় কোনও উত্তর দেয়নি হাসপাতাল সুপার ও চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে একের পর জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আজও প্রকাশ্যে আসে কার্শিয়াংয়ে তিন শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর। গতকাল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকেও শিশুমৃত্যুর খবর এসেছিল। তবে ওই শিশুদের মৃত্যুর কারণ ছিল অজানা জ্বর। গতকাল নিয়ে পরপর তিনদিনে প্রাণ যায় তিন শিশুর। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয় তিন মাসের শিশুকন্যা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে। জানা গিয়েছিল, মৃত শিশুটি শিলিগুড়ির বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: Barrackpore: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যু ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে! সরজমিনে Tv9 বাংলা