আসানসোল: বরাকরে (Barakar) আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে এবার এসটিএফ (STF) বা স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ঝাড়খণ্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পাচারের অভিযোগে ধৃত মহম্মদ ওরফে বাবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শনিবার আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে আসেন তদন্তকারীরা। দলে ৫ জন ছিলেন।
বরাকর ফাঁড়িতে রিমান্ডে থাকা আস মহম্মদ ওরফে বাবলুকে জেরা করা হয়। পাশাপাশি, যে জায়গা থেকে তাকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেখানেও এসটিএফের দলটি যায়। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলটি থানার বরাকরের বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় ২৫ টি ৭ এমএম পিস্তল ও ৪৬ টি ম্যাগাজিন-সহ আস মহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ধৃত নিজেকে কুলটি থানার কেন্দুয়া বাজার এলাকার খিলানধাওড়ার বাসিন্দা বলে পুলিশের কাছে দাবি করে। শুক্রবার পুলিশ ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে ১০ দিনের রিমান্ডের নিয়েছে।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ধৃতকে রিমান্ডে নিয়ে আরও জেরা করা হবে। গ্রেফতারির পর আস মহম্মদকে প্রাথমিক জেরা করা হয়। তাতে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে।
কিন্তু তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারিরা এর পেছনে রয়েছে। যারা মূলত ধৃতকে দিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় পিস্তল-সহ অনান্য আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের কাজ করত।
তাদের কাছ পযর্ন্ত পৌঁছতে হলে, ধৃতকে জেরা করা প্রয়োজন। সে কতদিন ধরে এই কাজ করছে, কোথায় কোথায় সে এখনও পর্যন্ত ঠিক কতগুলো আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছে, তাও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। ধৃত নিজেকে কুলটি থানা এলাকার বাসিন্দা বললেও, তার কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশের দাবি, ধৃতর বাড়ি ঝাড়খন্ডেই। এসটিএফের তরফে এদিন কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে পুলিশ জানায়, সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আসানসোলের কুলটি থানার বরাকর চেকপোস্ট থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬টি খালি ম্যাগাজিন।
তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে, রাজ্যে কোথায় এই অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল। এই যুবক কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যে আদৌ কোনও নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল কিনা, কিংবা কোনও দাগী অপরাধীর হাত রয়েছে কিনা, সে সব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপাতত এই সব কোনও প্রশ্নেরও উত্তর পাননি তদন্তকারীরা। ধৃতের কাছ থেকে প্রথমে তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরে তদন্ত এগোতে চাইছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ধৃত ঝাড়খণ্ডেরই বাসিন্দা। এবার এসটিএফের জেরার মুখে ধৃত।