১০ গ্রাম সোনা বন্ধক রেখে লোন চাইতে এসে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠ! সিসিটিভি-তে ধরা পড়ল রোমহর্ষক দৃশ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 11, 2021 | 9:17 PM

Robbery: মাত্র ১০ গ্রাম সোনা বন্ধক রেখে লোন চাইতে  এসেছিল চার জন। সেই লোনের কথা বলতে বলতেই পকেট থেকে বের হল আগ্নেয়াস্ত্র। সেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়েই সোনার গয়না সহ ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠ করে পালাল চার জন।

Follow Us

আসানসোল: মাত্র ১০ গ্রাম সোনা বন্ধক রেখে লোন চাইতে  এসেছিল চার জন। সেই লোনের কথা বলতে বলতেই পকেট থেকে বের হল আগ্নেয়াস্ত্র। সেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়েই সোনার গয়না সহ ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠ করে পালাল চার জন। শনিবার বারবেলায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে।

এদিন বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার লুঠপাট চালাল চার দুষ্কৃতী। শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ এই রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের মুর্গাসোল এলাকার মুথুট ফাইন্যান্সের অফিসে। ঘটনার পরপরই পুলিশ সমস্ত রকম সীমানা চেক পোস্টগুলি সিল করে দেয়। নাকা চেকিং শুরু হয় শহরজুড়ে।

জানা গিয়েছে, প্রথমে গ্রাহক সেজে ওই চার দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে ওই অফিসে। মাত্র ১০ গ্রাম সোনা বন্দক রেখে লোন চায় তারা। অফিস একজিকিউটিভ সোনালি গুপ্তর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সবাই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। সবার মুখে মাস্ক ও হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। কর্মীদের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠ শুরু করে তারাছ।

অফিসের সিসিটিভি থেকে দেখা যায়, প্রথমে নিরাপত্তারক্ষী অনিল পাণ্ডেকে মারধর করে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বন্দুক উঁচিয়ে সবাইকে মারধর করে হাত বেঁধে মুখে স্টিকার লাগিয়ে ভল্ট রুমে ঢুকিয়ে দেওয়া। প্রায় আধঘন্টার অপারেশন চালিয়ে তারা বেরিয়ে যায়। এরপর ব্যাগ ভর্তি করে সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে তারা চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

জানা গিয়েছে, ১২ কেজি সোনা ও ১০ লাখ টাকা নগদ লুঠ করেছে। এমনই দাবি ওই সংস্থার কাস্টমার সার্ভিস একজিকিউটিভ সোনালী গুপ্তর।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দ্রুত তদন্ত শুরু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার পর শহরজুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়। আসানসোল থেকে ঝাড়খন্ড ও অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য রাস্তাগুলি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশে ডিসি সেন্ট্রাল এস এস কূলদ্বীপ এদিন আসেন। তারপরেই দুর্গাপুর থেকে সিআইডি-র চার সদস্যের দল আসে তদন্তের জন্য। তবে দুস্কৃতীরা কোন গাড়িতে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে তদন্তকারী দল।

এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা। বছর দুয়েক আগে এই মুর্গাসোলেই সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তখনও ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠ হয়েছিল। বছর তিনেক আগে এই মুথুট ফাইন্যান্স গোল্ড লোনের আসানোসলের অন্য একটি শাখায় একই কায়দায়া লুঠপাট হয়েছিল। শনিবার একই সংস্থায় ফের ঘটল দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন, পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: Cut Money: ‘আত্মহত্যা ছাড়া রাস্তা নেই,’ কাটমানির জ্বালায় অতিষ্ঠ বৃদ্ধ দম্পতির চিঠি বিডিও-কে 

আসানসোল: মাত্র ১০ গ্রাম সোনা বন্ধক রেখে লোন চাইতে  এসেছিল চার জন। সেই লোনের কথা বলতে বলতেই পকেট থেকে বের হল আগ্নেয়াস্ত্র। সেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়েই সোনার গয়না সহ ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠ করে পালাল চার জন। শনিবার বারবেলায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে।

এদিন বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় দিন দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না ও নগদ মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার লুঠপাট চালাল চার দুষ্কৃতী। শনিবার বেলা তিনটে নাগাদ এই রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের মুর্গাসোল এলাকার মুথুট ফাইন্যান্সের অফিসে। ঘটনার পরপরই পুলিশ সমস্ত রকম সীমানা চেক পোস্টগুলি সিল করে দেয়। নাকা চেকিং শুরু হয় শহরজুড়ে।

জানা গিয়েছে, প্রথমে গ্রাহক সেজে ওই চার দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে ওই অফিসে। মাত্র ১০ গ্রাম সোনা বন্দক রেখে লোন চায় তারা। অফিস একজিকিউটিভ সোনালি গুপ্তর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সবাই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। সবার মুখে মাস্ক ও হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। কর্মীদের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লুঠ শুরু করে তারাছ।

অফিসের সিসিটিভি থেকে দেখা যায়, প্রথমে নিরাপত্তারক্ষী অনিল পাণ্ডেকে মারধর করে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বন্দুক উঁচিয়ে সবাইকে মারধর করে হাত বেঁধে মুখে স্টিকার লাগিয়ে ভল্ট রুমে ঢুকিয়ে দেওয়া। প্রায় আধঘন্টার অপারেশন চালিয়ে তারা বেরিয়ে যায়। এরপর ব্যাগ ভর্তি করে সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে তারা চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

জানা গিয়েছে, ১২ কেজি সোনা ও ১০ লাখ টাকা নগদ লুঠ করেছে। এমনই দাবি ওই সংস্থার কাস্টমার সার্ভিস একজিকিউটিভ সোনালী গুপ্তর।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দ্রুত তদন্ত শুরু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার পর শহরজুড়ে নাকা চেকিং শুরু হয়। আসানসোল থেকে ঝাড়খন্ড ও অন্য জেলায় যাওয়ার জন্য রাস্তাগুলি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশে ডিসি সেন্ট্রাল এস এস কূলদ্বীপ এদিন আসেন। তারপরেই দুর্গাপুর থেকে সিআইডি-র চার সদস্যের দল আসে তদন্তের জন্য। তবে দুস্কৃতীরা কোন গাড়িতে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আশেপাশের দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে তদন্তকারী দল।

এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা। বছর দুয়েক আগে এই মুর্গাসোলেই সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তখনও ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি লুঠ হয়েছিল। বছর তিনেক আগে এই মুথুট ফাইন্যান্স গোল্ড লোনের আসানোসলের অন্য একটি শাখায় একই কায়দায়া লুঠপাট হয়েছিল। শনিবার একই সংস্থায় ফের ঘটল দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল জানিয়েছেন, পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: Cut Money: ‘আত্মহত্যা ছাড়া রাস্তা নেই,’ কাটমানির জ্বালায় অতিষ্ঠ বৃদ্ধ দম্পতির চিঠি বিডিও-কে 

Next Article