আসানসোল: বিরক্ত করতে না করেছিলেন বার বার। অভিযোগ, তবু পরস্ত্রীকে ফোন, মেসেজে উত্যক্ত করে চলেছিলেন এক যুবক। এরপরই বিষয়টি স্বামীকে জানান ওই তরুণী। টোপ দিয়ে ডেকে আনেন এলাকায়। অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রী মিলে বেদম মারধর করেন ওই যুবককে। চড়-থাপ্পড়, কিল, ঘুষি বাদ পড়েনি কিছুই। জামুড়িয়ার আকলপুর মোড়ে এই ঘটনা দেখে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও এত কিছুর পরও বুক চিতিয়ে ওই যুবক দাবি করেন, ওই তরুণীর ডাকে সাড়া দিয়েই এসেছেন তিনি।
অভিযোগকারী ওই তরুণীর বক্তব্য, “ও আমাকে বার বার ফোন করে বিরক্ত করছিল। বলেছে আমার স্বামীই নাকি ওকে ফোন নম্বর দিয়েছে। এমনকী আমাকে ওর বউও বলছিল। এরপরই আমাকে বলে তোমাকে গাড়ি করে নিয়ে আসব। তখনই আমার মাথায় বুদ্ধি আসে ওকে হাতেনাতে ধরার। ডেকে পাঠাই। তারপরই মেরেছি।”
অভিযোগ, ওই তরুণীকে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল মেসেজ পাঠাচ্ছিল ওই যুবক। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল আদিবাসী গৃহবধূকে। এরপরই পাল্টা টোপ দেন তিনি। শুক্রবার ডেকে আনেন আকলপুর মোড়ে। সেখানেই স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে চলে মার।
আরও পড়ুন: এবার থেকে পুরসভায় ঢুকতে গেলে দেখাতে হবে কোন কোন পরিচয়পত্র, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল পুরকর্তৃপক্ষ
অভিযুক্ত যুবক প্রভাকর রুইদাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। জামুড়িয়ার শ্রীপুরের ডাঙালপাড়ায় বাড়ি। মারধর খেয়েও অবশ্য প্রভাকর নিজের দাবিতে অনড়, “ও মেয়ে ডেকেছিল বলেই না এসেছি। না হলে আমি আসতুম না। আমার যদি প্রাণে ভয় থাকত আমি কি আসতুম?” জামুরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রভাকরকে আটক করে।