Asansol Agitation: খনির জলে ডুবল মন্দির, কূলদেবতার ছবি নিয়ে বিক্ষোভে বসলেন গ্রামবাসীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 11, 2022 | 9:45 AM

Asansol Agitation: আন্দোলনকারীরা খনি মুখ চত্বরে ভৈরবনাথের ছবি বসিয়ে পুজো শুরু করে দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে।

Asansol Agitation: খনির জলে ডুবল মন্দির, কূলদেবতার ছবি নিয়ে বিক্ষোভে বসলেন গ্রামবাসীরা

Follow Us

আসানসোল : ভূগর্ভস্থ খনির জলে ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। অভিযোগ, খনির জল পাম্প করে তুলে ফেলা হচ্ছে জমির ওপরে। সেই জলই নষ্ট করে দিচ্ছে চাষের জমি। শুধু তাই না ভৈরব মন্দিরও ডুবে গিয়েছে খনির জলে। সেই মন্দিরেই গ্রামের কূলদেবতার বাস বলে বিশ্বাস করেন গ্রামবাসীরা। এই অভিযোগেই বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে খনি চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। খনির চত্বরে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ায় খনির কাজ ব্যহত হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষের অভিযোগ ছিল। বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জের বাঁশরা খনিতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভৈরবনাথের ছবি নিয়ে এসে ম্যানেজারের অফিসের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

জানা গিয়েছে, খনির জল ওপরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলা হয়। আগে সেই জল নির্দিষ্ট নালার মাধ্যমে চলে যেত অন্যত্র। আবার কখনও এই জলকে সেচেরও কাজে লাগাতেন স্থানীয় কৃষকেরা। কিন্তু সম্প্রতি ওই নালা ভেঙে পড়ায় জল ঢুকে যাচ্ছে চাষের জমিতে। বিশেষ করে খনির সি পিটের জলে এই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। চারিদিক জলমগ্ন হওয়ায় ধসও নামছে যখন তখন। এবার সেই জল আরও বেড়ে গিয়ে গ্রামের প্রাচীন ভৈরব মন্দির জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। এরপরই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে বাসিন্দাদের।

আন্দোলনকারীরা খনি মুখ চত্বরে ভৈরবনাথের ছবি বসিয়ে পুজো শুরু করে দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত জমি অধিগ্রহণ করতে হবে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বৈজু শর্মা বলেন, ‘মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় সারলে চলবে না। লিখিত আকারে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সঙ্গেই জমি মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।’

পরে রানিগঞ্জ থানার আমরাসোতা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠক চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসাও শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে সূত্র বের করার আশ্বাস দিলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

Next Article