পশ্চিম বর্ধমান (আসানসোল): শুক্রবার ফের আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। এর আগে প্রভাবশালী তত্ত্বেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল অনুব্রত জামিনের আর্জি। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লটারি-বিড়ম্বনা। শুক্রবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে তাঁকে। গত ২৯ অক্টোবর সিবিআই আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির। সূত্রের খবর, শুক্রবার ফের তাঁর জামিনের আবেদনে জোরাল সওয়াল করবেন তাঁর আইনজীবী।
গত শুনানিতে আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন অনুব্রতর আইনজীবি চার্জশিটে অনুব্রতর রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে নিশানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, গরু পাচারে তাঁর মক্কেল যুক্ত এমন প্রমাণ নেই। তাহলে কি রাজনীতির কারণেই তাঁকে এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে? এমনও প্রশ্ন তুলেছিলেন, দল বদল কিংবা রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিলে তবে কি মুক্তি মিলবে?
বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ ঠিক কোথায়? জামিন দেওয়া হলে সাক্ষ্যদের কীভাবে উনি প্রভাবিত করতে পারেন? তদন্ত শেষ করতে আর কত দিন সময় লাগবে? সেদিন সিবিআই জানিয়েছিলে, তদন্ত শেষ হতে আরও দু’মাস।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয় কেষ্টর। ১১ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার ফের শুনানি। কিন্তু এবার নতুন কাঁটা রয়েছে অনুব্রতর। গত সপ্তাহেই সংশোধনাগারে গিয়েছিল সিবিআই। সেখানে অনুব্রত কীভাবে ১ কোটি টাকার লটারি জিতলেন তার উত্তরের খোঁজ করেন। যে টিকিট বোলপুর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের নাহিনা গ্রাম থেকে কেনা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
কেন এতদূর থেকে অনুব্রত লটারির টিকিট কিনলেন তার জবাব খুঁজছে তদন্তকারীরা। এর হাত ধরেই উঠে এসেছে প্রশ্ন, এটা কি কালো টাকা সাদা করার কৌশল? গরু পাচার মামলায় প্রায় ৯০ দিন হতে চলল জেলে অনুব্রত। এবার আবার নতুন কাঁটা বীরভূমের দাপুটে নেতার গলায়।