আসানসোল : আসানসোলে তৈরি হবে তিনটি ওয়েলকাম গেট। যার মধ্যে একটি রাজারহাট বিশ্ববাংলা (Biswa Bangla Gate)গেটের আদলে তৈরি হবে। কিন্তু সেই গেট তৈরির জন্য খুলে ফেলার তোরজোর শুরু হয়েছে ‘সিটি অফ ব্রাদারহুড’ গেট। এই ঘটনায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র বর্তমান বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আপত্তি জানিয়েছেন কংগ্রেস বিজেপি সহ বিরোধীরা। সিটি অফ ব্রাদারহুড অর্থ্যাৎ ভ্রাতৃত্বের শহর। বহুভাষাভাষী মানুষের বসবাস শিল্পাঞ্চলে। সেখান থেকেই ভ্রাতৃত্বের শহরের ভাবনা। অনেকেই বলেন, মেয়র থাকাকলীন জিতেন্দ্র তেওয়ারি আসানসোলের সঙ্গে এই নামটি জুড়ে দেন। ঠিক যে ভাবে জুড়ে রয়েছে কলকাতার সঙ্গে ‘সিটি অফ জয়’ শব্দটি। বর্তমান পুরবোর্ড শহরের সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে তৎকালীন পুরনিগমের তৈরি ২০ লক্ষ টাকার বাজেটের গেট খুলে ফেলে নতুন গেট তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে শহরজুড়ে।
আসানসোল পুরনিয়মের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন টুইট করে। অন্যদিকে আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি চিঠি পাঠিয়েছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, সৌন্দর্যায়নের জন্য শহরের জুবিলী মোড়, কালিপাহাড়ী মোড় এবং ভগৎ সিং মোড়ে তিনটি তোরণ বা গেট নির্মাণ হচ্ছে। যার জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ৪ কোটি টাকা। রাজারহাটের বিশ্ব বাংলার যে তোরণ রয়েছে সেই আদলে তৈরি করা হচ্ছে একটি তোরণ।
আসানসোলের মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, “আসানসোলে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তারপরেই শহরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করতে সিটি অফ ব্রাদারহুড নামকরণ হয়। সেই নামে গেট তৈরি হয়। এই নামকে গ্রহণ করেন শহরের মানুষ। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শব্দটি। ২০ লক্ষ টাকা তৈরি হয়েছিল গেট তৈরির সময়। তবে নতুন করে এখানে গেট তৈরির কি প্রয়োজন ? টাকার অভাবে শহরের যখন উন্নয়ন হচ্ছে না। ওই চার কোটি টাকা শহরের উন্নয়নে ব্যবহার করা উচিত। নয়তো নতুন জায়গায় গেট তৈরি হোক। এটা ভাঙার প্রয়োজন নেই।”
একই দাবি কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরবরেরও। তাঁদের সাফ প্রশ্ন আসানসোলের এই বিশেষ পরিচিতিকে কেন মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে ? যদিও মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ওই জায়গায় ওয়েলকাম গেট তৈরি হবে। আরও সৌন্দর্য বাড়বে। তবে সিটি অফ ব্রাদারহুড ওই শব্দটি অন্য কোথাও অন্য কোনওভাবে রাখা যায় কিনা সেই বিবেচনা করা হবে। ওখানেও রাখা যেতে পারে। কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।”