আসানসোল: ‘আমি চোর না ডাকাত, যে আমাকে আটকে রাখবে…’ নিজের পক্ষে এবার সওয়াল করলেন অনুব্রত মণ্ডল। ‘দিদি’ তাঁকে ‘বীরের’ মর্যাদা দেওয়ার পরই ‘কনফিডেন্ট’ অনুব্রত। আগের দিন কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে ব্রেক ফাস্ট করেছিলেন শক্তিগড়ে। গাড়ি থেকে নেমে ঢুকেছিলেন ল্যাঙচা হাবে। খেয়েছিলেন পুরি। সঙ্গে কিছুটা ক্ষোভ উগরেছিলেন TV9 বাংলার ওপর। এদিনও আসানসোল থেকে কলকাতার সফরে তাঁর গাড়ি দাঁড়াল শক্তিগড়েই। তবে তিনি নামলেন না, গাড়িতেই থাকলেন। গাড়িতেই তাঁর জন্য চলে এল পুরি,সবজি। গাড়ি কাচ নামিয়ে সে খাবার নেওয়ার সময়ে আবারও সাংবাদিকরা বুম বাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর দিকে। তিনি বললেন, “আমি চোর না ডাকাত, যে আটবে রাখবে আমাকে…” এমপিএমএলএ আদালতে পেশ করার আগে অটুট তাঁর আত্মবিশ্বাস। ‘দিদি’ পাশে দাঁড়ানোর পর তাঁর আত্মবিশ্বাস যে শিখরে পৌঁছেছে, তা তার দৈহিক ও বাচনিক ভঙ্গিতেই স্পষ্ট।
এক যুগ আগের একটি মামলায় শুক্রবার অনুব্রতকে এমপিএমএলএ আদালতে পেশ করা হবে। সেই মোতাবেক সাতসকালেই আসানসোল থেকে কলকাতার উদ্দেশে তাঁকে নিয়ে রওনা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সকাল থেকেই দৃশ্যত খোসমেজাজেই দেখা গিয়েছে অনুব্রত। আর হবে নাই বা কেন! নেত্রী তথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দলের মেগা ইভেন্ট থেকেই তাঁকে দিয়েছেন বীরের মর্যাদা। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মমতা বলেছেন, “কেষ্ট যতদিন ফিরে না আসছে, লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে কেষ্টকে জেল থেকে বের করে আনতে হবে। এই মানসিকতা নিয়ে তৈরি থাকুন। বীরভূম জেলা হারতে শেখেনি, ওটা লাল মাটির রাস্তা, লাল মাটির দেশ। এটা সবসময় মাথায় রাখবেন।” উল্লেখ্য, দলের কোনও নেতার উদ্দেশে এযাবৎ এত বড় কথা বলতে শোনা যায়নি নেত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁকে স্নেহ করেন, তা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে অবগত। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতারির পরও অনুব্রতর পাশে প্রত্যেকটা মঞ্চ থেকে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে নেত্রীকে।
নেত্রীকে পাশে পেয়ে দৃশ্যত আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত। বললেন, ‘নিশ্চয়ই ছাড়া পাব…’