Asansol Bypoll: আসানসোলের তৃণমূল বিধায়ককে কমিশনের শাস্তি, ৭ দিন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 30, 2022 | 1:37 PM

Asansol Bypoll: এরপরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। ভাইরাল হওয়া প্রেস কনফারেন্সের বিতর্কিত ভিডিয়ো নিয়ে দিল্লিতে সরব হন বিজেপি সাংসদরা।

Follow Us

আসানসোল: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জের। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। বুধবার থেকে সাত দিন ভোটপ্রচারে থাকতে পারবেন না তিনি। কোনও রকম জনসভা, রোড শো, মিছিলে অংশ নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার একটি ভিডিয়ো বঙ্গ রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় তোলে।

কী বলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক? 

ভাইরাল হওয়ায় সেই ভিডিয়োতে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখা যায়। সেখানেই প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, “যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদেরকে হেলানো যাবে না, তাঁদেরকে চমকাতে হবে। বলবেন, আপনি যদি ভোট দিতে যান, তা হলে ধরে নেব বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন, সেটা আপনার নিজের বিষয়। আর যদি ভোট দিতে না যান, তাহলে ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। চাকরি করুন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।” এরপর আবার বিধায়ক বলেন, ‘ক্লিয়ার!’ এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এরপরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। ভাইরাল হওয়া প্রেস কনফারেন্সের বিতর্কিত ভিডিয়ো নিয়ে দিল্লিতে সরব হন বিজেপি সাংসদরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করে কমিশন। তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ, বুধবার সকাল ১০ টা থেকে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। ৬ এপ্রিল রাত ৮ টা পর্যন্ত থাকবে নিষেধাজ্ঞা।

তৃণমূলের বক্তব্য

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটা পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পদক্ষেপ নেওয়ার সময় কি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল? কারণ অভিযোগ ও অভিযুক্ত-দুপক্ষেরই বক্তব্য শোনা উচিত। কমিশনের দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলা উচিত ছিল। নাকি এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হল? অভিযুক্তের বক্তব্য না শুনেই শাস্তি দেওয়া ভারতীয় বিচারব্যবস্থার বিপক্ষে।”

বিজেপি-র বক্তব্য

অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “৭ দিন প্রচারে যেতে পারবেন না, এটা ভালো সিদ্ধান্ত। স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু সঙ্গে এটাও বলব, ফৌজদারি বিধিতে যদি কোনও ব্যবস্থা করত, সেটা আরও ভাল হত। আমি বলব, এই জাতীয় প্রবণতা বন্ধ হোক। নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই হোক।”

তবে একটি বিষয় এক্ষেত্রে উল্লেখ্য। ঘটনার পরই TV9 বাংলার তরফে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ কথা তিনি বলেছেন। তাঁর যুক্তি ছিল, “এটা কোন সময়ের ঘটনা আমার মনে নেয়। আগের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির নির্দেশে আমরা তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করতাম।” পাণ্ডবেশ্বের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, “বিজেপির লোকেরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তৃণমূল হারবে এটা উনি বুঝেছেন। এই ধরনের কাজ না করাই ভাল।”  প্রসঙ্গত, আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোলের উপ নির্বাচন।

আরও পড়ুন: TMC vs BJP: ‘বিজেপিকে ভোট দিলে কোথায় থাকবেন আপনি…’, দেখুন তৃণমূল বিধায়কের ভাইরাল ভিডিয়ো

আসানসোল: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জের। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। বুধবার থেকে সাত দিন ভোটপ্রচারে থাকতে পারবেন না তিনি। কোনও রকম জনসভা, রোড শো, মিছিলে অংশ নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার একটি ভিডিয়ো বঙ্গ রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় তোলে।

কী বলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক? 

ভাইরাল হওয়ায় সেই ভিডিয়োতে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখা যায়। সেখানেই প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, “যাঁরা কট্টর বিজেপি, যাঁদেরকে হেলানো যাবে না, তাঁদেরকে চমকাতে হবে। বলবেন, আপনি যদি ভোট দিতে যান, তা হলে ধরে নেব বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন, সেটা আপনার নিজের বিষয়। আর যদি ভোট দিতে না যান, তাহলে ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। চাকরি করুন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।” এরপর আবার বিধায়ক বলেন, ‘ক্লিয়ার!’ এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এরপরই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। ভাইরাল হওয়া প্রেস কনফারেন্সের বিতর্কিত ভিডিয়ো নিয়ে দিল্লিতে সরব হন বিজেপি সাংসদরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করে কমিশন। তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আজ, বুধবার সকাল ১০ টা থেকে জারি হবে নিষেধাজ্ঞা। ৬ এপ্রিল রাত ৮ টা পর্যন্ত থাকবে নিষেধাজ্ঞা।

তৃণমূলের বক্তব্য

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটা পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পদক্ষেপ নেওয়ার সময় কি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল? কারণ অভিযোগ ও অভিযুক্ত-দুপক্ষেরই বক্তব্য শোনা উচিত। কমিশনের দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলা উচিত ছিল। নাকি এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ করা হল? অভিযুক্তের বক্তব্য না শুনেই শাস্তি দেওয়া ভারতীয় বিচারব্যবস্থার বিপক্ষে।”

বিজেপি-র বক্তব্য

অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “৭ দিন প্রচারে যেতে পারবেন না, এটা ভালো সিদ্ধান্ত। স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু সঙ্গে এটাও বলব, ফৌজদারি বিধিতে যদি কোনও ব্যবস্থা করত, সেটা আরও ভাল হত। আমি বলব, এই জাতীয় প্রবণতা বন্ধ হোক। নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই হোক।”

তবে একটি বিষয় এক্ষেত্রে উল্লেখ্য। ঘটনার পরই TV9 বাংলার তরফে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ কথা তিনি বলেছেন। তাঁর যুক্তি ছিল, “এটা কোন সময়ের ঘটনা আমার মনে নেয়। আগের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির নির্দেশে আমরা তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করতাম।” পাণ্ডবেশ্বের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, “বিজেপির লোকেরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে তৃণমূল হারবে এটা উনি বুঝেছেন। এই ধরনের কাজ না করাই ভাল।”  প্রসঙ্গত, আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোলের উপ নির্বাচন।

আরও পড়ুন: TMC vs BJP: ‘বিজেপিকে ভোট দিলে কোথায় থাকবেন আপনি…’, দেখুন তৃণমূল বিধায়কের ভাইরাল ভিডিয়ো

Next Article