Asansol: শোধ করেননি ঋণ, তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি হয়ে গেল সিল!
Asansol: ঋণ শোধ না করায় কুলটির তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি দখল নিল বেসরকারি হাউজিং ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশে কুলটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোল পৌরনিগমের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সেলিম আক্তারের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়।
আসানসোল: তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি সিল। সিল করল আধার হোম ফাইন্যান্স কোম্পানি। ঋণ শোধ না করায় কোর্টের নির্দেশে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে সবাইকে বের করে দিয়ে বাড়িটি সিল করে দেয়। শুক্রবার কুলটি বিধানসভা এলাকার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড পাতিয়ানা মহল্লার ঘটনায় চাঞ্চল্য। গত দেড় মাস ধরে তৃণমূল কাউন্সিলর সেলিম আখতার আনসারি বেপাত্তা বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। অতীতে বেশ কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে বিতর্কে নাম জড়িয়েছে এই কাউন্সিলরের।
ঋণ শোধ না করায় কুলটির তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি দখল নিল বেসরকারি হাউজিং ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশে কুলটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোল পৌরনিগমের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সেলিম আক্তারের বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়। আসানসোলের কুলটির পাতিয়ানা মহল্লায় এলাকায় সেলিমের বাড়ি।
বেসরকারি হাউজিং ঋণ প্রধানকারী সংস্থার তরফে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ১৯ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সেলিম আখতার আনসারি ও তার ভাই শামিম আনসারি। সেই টাকা শোধ না করায় সেই ঋণের অঙ্ক ৩২ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এরপর ওই সংস্থা আদালতের দারস্ত হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে সেলিম আখতারের বাড়ি দখল নেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।সেলিম আখতার আনসারির ভাই শামীম আখতার আনসারি বলেন তার দাদা গত দেড়মাস ধরে বাড়িতে নেই। কোথায় পরিবার নিয়ে গেছে তার জানা নেই। তারা এক মাস সময় চেয়েছিলেন। মানবিক হওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শোনেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ আসলাম (টিঙ্কু ) বলেন, “কাউন্সিলর ঋণ নিয়েছিলেন। ওই বাড়িতে তাঁর ভাই ও পরিবারের লোকজনও থাকেন। তাঁদেরকে সময় দেওয়া উচিত ছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে তারক সামন্ত বলেন চার বছর ধরে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। অবশেষে আদালতের নির্দেশে তারা বাড়িটি দখল নিতে এসেছেন।”
উল্লেখ্য তৃণমূল কাউন্সিলর সেলিম আখতার ওই এলাকার রেশন ডিলারও। তাঁর বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। খাদ্য দফতর থেকে তদন্ত হয় ও রেশন দোকান সিল করে দেওয়া হয়। তখনও পালিয়েছিলেন সেলিম আখতার। পরে ওই রেশনের জিনিসপত্র সঠিক বন্টনের জন্য পাশের এলাকার ডিলারকে দিয়ে দেওয়া হয়। সেলিমের বিরুদ্ধে পুরনিগমে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল। গত অক্টোবর মাসে সেলিমের নামে থ্রেট চিঠি এসেছিল। সাবধানে থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে ফেরার সেলিম। এবার ঋণ নিয়ে শোধ না করায় সেলিমের বাড়ি দখল নিল ঋণদানকারী সংস্থা।