Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pollution: শহরে দূষণের অবস্থা ভয়াবহ, জেনে নিন তালিকায় আপনার ওয়ার্ড আছে কি না

Pollution in Asansol: মঙ্গলবার, আসানসোল পুরনিগম এলাকার দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুর সচিব শুভজিৎ বসু। এছাড়াও উপস্থিত ছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। ও মেয়র গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়।

Pollution: শহরে দূষণের অবস্থা ভয়াবহ, জেনে নিন তালিকায় আপনার ওয়ার্ড আছে কি না
ভয়াবহ পরিস্থিতি Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2023 | 8:40 AM

আসানসোল: কালীপুজোর দিন লাগাতার শব্দবাজি ফাটিয়ে দূষিত শহরগুলির তালিকায় বিশ্বের চতুর্থতম স্থানে নাম লিখিয়েছে কলকাতা। তবে শুধু তিলোত্তমা নয়, এ রাজ্যের অন্যান্য শহরগুলির একাংশের অবস্থাও খুব একটা ভাল নেই বলাই যায়। বিশেষ করে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় দূষণ পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ। পুরনিগমের ২১ টি ওয়ার্ডের দূষণ চিত্র বেশ উদ্বেগ জনক অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার, আসানসোল পুরনিগম এলাকার দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুর সচিব শুভজিৎ বসু। এছাড়াও উপস্থিত ছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। ও মেয়র গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, দূষণ আগে থেকেই ছিল। তারপর আবার সদ্য গিয়েছে কালী পুজো ও দীপাবলি। এরপর থেকে আসানসোল শহরের বায়ু মানের সূচক ২৫০ ছাড়িয়েছে। যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। গতকালের বৈঠক থেকে পুর এলাকায় ৩ হাজার ৯১২টি দোকান চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা এখনও কয়লা ব্যবহার করে চলেছে। বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওই দোকানগুলির মালিকদেরকে দূষণের কথা বলে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হবে। একই সঙ্গে রেল,সেল ও ইসিএলের এলাকাও দূষণ ছড়াচ্ছে। সেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার কথা বলা হবে তিন সংস্থার আধিকারিকদের।

জানা গিয়েছে, পুর এলাকার যে ২১ টি ওয়ার্ডের দূষণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তার মধ্যে রয়েছে, ১২, ১৩, ১৪, ২০, ২১, ২৩, ২৫, ৩১, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৬, ৭৭, ৮৮, ৯৭ ও ১০৬। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০টি গাড়ি থেকে দিনে চারবার করে জল স্প্রে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরনিগম। পাশাপাশি শহরবাসীকে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করার জন্য আবেদন জানানো হবে।

এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি দূষণের জন্য দায় চাপিয়েছেন ইসিএলের ওপর। প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির অভিযোগ বর্তমান বোর্ডের পরিকল্পনার অভাব। তার সময় দূষণ নিয়ন্ত্রনে আসানসোল পুরনিগম কেন্দ্রীয় পুরস্কার এনেছিল।অথচ দুবছরের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে মুখ থুবড়ে পড়ল পুরনিগম।