Asansol Mine: দাউ দাউ করে জ্বলছে খনিগর্ভ, অল্পের জন্য বাঁচলেন শ্রমিকরা
Asansol Mine: দেখা যায় খনির ওপরে জড়ো করা হয়েছে বালি, ইট সহ বিভিন্ন সামগ্রী। এই মুহূর্তে কয়লা খনির অভ্যন্তরে শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও রেসকিউ টিম পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বলে খবর। খনির কয়লা উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আসানসোল : আগুন লাগল খনিগর্ভে। জামুড়িয়ার সাতগ্রাম এরিয়ার সাতগ্রাম প্রজেক্টে আগুন লাগে। কয়লা খনির প্রায় ৮০০ ফুট গভীরে, খনিগহ্বরের সুরঙ্গের মধ্যে আগুন লাগে। খনির পরিত্যক্ত স্তরে এই আগুন লাগার ঘটনাটি প্রথম প্রত্যক্ষ করেন কয়লা খনির শ্রমিকরা। পরে খনি আধিকারিকদের এই ঘটনার খবর দিলে তড়িঘড়ি কয়লা খনির উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে তৎপর হয়। খনির যে জায়গায় আগুন লাগে সেই জায়গায় যাতে অক্সিজেন না পৌঁছাতে পারে তার জন্য স্টপিং ওয়ালের ব্যবস্থা করা হয়।
দেখা যায় খনির ওপরে জড়ো করা হয়েছে বালি, ইট সহ বিভিন্ন সামগ্রী। এই মুহূর্তে কয়লা খনির অভ্যন্তরে শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও রেসকিউ টিম পৌঁছে কাজ শুরু করেছে বলে খবর। খনির কয়লা উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের খনিতে নামতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। এর আগেও খনির অভ্যন্তরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল কুনুস্তরিয়া এরিয়ার, কুনুস্তরিয়া কোলিয়ারিতে। সেই সময় খনির অভ্যন্তরে এতটাই ভয়াবহ আগুন লাগে কয়েক বছর ধরে বন্ধ করে রাখতে হয়েছিল কয়লা খনি। খনি বাঁচাতে তরল নাইট্রোজেন স্প্রে করা হয়েছিল।
তবে এক্ষেত্রে আগুনের ভয়াবহতা ততটা নয়, বলেই দাবি করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের দাবি খনি গহ্বরের ৮০০ ফুট গভীরে আট নম্বর লেভেলের ৫ নম্বর ডিপে এই ধোঁয়া বের হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের দাবি, খনির ভেতরে আগুন লাগার ঘটনা স্বাভাবিক।
কর্তৃপক্ষ আগুন নেভাতে তৎপর হয়েছে। বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জীবনের সুরক্ষার বিষয়টি অবহেলা করছে। শুধু মুনাফা কমানোর উদ্দেশ্যে ঝুঁকি নিচ্ছেন তাঁরা। ট্রেড ইউনিয়নের সেফটি টিম খনিতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেওয়ার পরেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে শুরু হয়েছে খনি গর্ভে আগুন নেভানোর কাজ।





