Asansol: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার দুটি জেলায় আলাদা ভোটার কার্ড, শুরু রাজনৈতিক জলঘোলা
Asansol: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কোরুই গ্রামের বাসিন্দা শুক্লা দত্ত। ২৪৩ নম্বর বুথের ভোটার। ১২ বছর আগে তার বিয়ে হয়, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের সালানপুরে রূপনারায়ণপুরে। সেখানকার ৮৫ নম্বর বুথের ভোটার তালিকা তেও রয়েছে তাঁর নাম। অর্থাৎ দুটি এপিক নম্বর।

আসানসোল: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার দুটি জেলায় আলাদা ভোটার কার্ড। বাপের বাড়ি কাটোয়াতে ও রয়েছে তার ভোটার তালিকায় নাম, আবার শশুর বাড়ি সালানপুরেও রয়েছে তাঁর ভোটার তালিকায় নাম। SIR এর সময় উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। পশ্চিম বর্ধমান জেলার রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শুক্লা দত্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দু’জায়গাতেই ভোটার তালিকায় নাম রেখেছেন। বিজেপির অভিযোগ দুটি ভোটার কার্ড ব্যবহার করে কীভাবে তিনি পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ালেন।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কোরুই গ্রামের বাসিন্দা শুক্লা দত্ত। ২৪৩ নম্বর বুথের ভোটার। ১২ বছর আগে তার বিয়ে হয়, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের সালানপুরে রূপনারায়ণপুরে। সেখানকার ৮৫ নম্বর বুথের ভোটার তালিকা তেও রয়েছে তাঁর নাম। অর্থাৎ দুটি এপিক নম্বর। ২০২৩ সালে সালানপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ান শুক্লা দত্ত। ভোটে জয়লাভ করে তিনি এখন ওই পঞ্চায়েতের সদস্য।
কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি ৪ নম্বর মন্ডল সভাপতি সূর্যদেব ঘোষ জানান, শুক্লা দত্ত সকালে পশ্চিম বর্ধমানে ভোট দেয়। বিকালে পূর্ব বর্ধমানে ভোট দিতে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়িতে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হলেন কিন্তু তথ্য গোপন করেছেন। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন।
যদিও শুক্লা দত্ত জানিয়েছেন, বিয়ের আগে বাপের বাড়িতে ভোটার তালিকায় নাম ছিল। শ্বশুর বাড়িতে আসার পর নাম তুলেছেন নতুন করে। বাপের বাড়ির ভোটার কার্ড জমা করে দেওয়া হয়ছিল। তারপর থেকে রূপনারায়ণপুরেই ভোট দিচ্ছেন। বাপের বাড়িতে আর ভোট দিতে যাননি।
শুক্লার বক্তব্য, তাঁর জানা ছিল না কাটোয়াতেও তাঁর নাম এখনও রয়েছে। এই ঘটনার জন্য BLO র গাফিলতি আছে বলে শুক্লা দত্তর অভিযোগ। তিনি জানান, এখানে SIR ফর্ম ফিলাপ করেছেন। ওখানে তিনি কিছু করেননি। স্বাভাবিকভাবে ওখান থেকে নাম বাদ যাবে। এর মধ্যে বিতর্কের কিছু নেই।
