আসানসোল: আসানসোলের কুলটিতে ‘খুন’ খনি কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু খনি কর্মীর। বুধবার সকালে ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য কুলটির শীতলপুর এলাকায়। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম পরেশ মারাণ্ডি।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুটি খুনের ঘটনা ঘটল আসানসোলের কুলটিতে। কুলটির শীতলপুরের কাছে তুলসি হেরে নামক গ্রামে গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পরেশ মারান্ডি নামক ওই খনি কর্মীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী একটি ঝুপড়ি দোকান ছিল। স্থানীয়রা অনুমান করছেন, ওই দোকানে দেশি মদের কারবার চলতো। ওই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পরেশ। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে কুলটি থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।৭িভি
কী কারণে গুলি, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরেশের সঙ্গে কারোর কোনও শত্রুতা ছিল কিনা, যদি থেকে থাকে, তা কী কারণে, নাকি কেবলই দেশি মদের দোকানে বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে গুলি? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পরেশের পরিবারের থেকে জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
খনিকর্মীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, “কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না। বাড়িতেই তো ছিল সকালে। একটু বের হচ্ছি বলে বেরিয়ে গেল। আমার ছেলেও বাড়িতে ছিল না। তারপর তো শুনি এই কথা।”
এক প্রতিবেশী যুবক বলেন, “আমি চিনি লোকটাকে। সবাই চেনে, পাড়ার লোক। ইসিএলে কাজ করত। হঠাৎ শুনি গুলির শব্দ। আমরা শুনতে পেয়ে দৌঁড়ে আসি। তখন দেখি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যারা গুলি চালিয়েছে, তারা ততক্ষণে পালিয়ে যায়। কারা গুলি চালিয়েছে, তা আমরা কেউই সেভাবে খেয়াল করিনি।”
আরও পড়ুন: Firhad Hakim on Tableau: ‘নেতাজির নামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে’, কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ ফিরহাদের