Awas Yojana: হয়ে গেল জাত বদল! প্রাসাদপম বাড়ির মালিক রেশন ডিলারের নামও ঢুকল আবাসের তালিকায়

Jayanta Biswas | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 08, 2024 | 7:15 PM

Awas Yojana: মালোচনায় সরব বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কী হাল! যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে।"

Awas Yojana:  হয়ে গেল জাত বদল! প্রাসাদপম বাড়ির মালিক রেশন ডিলারের নামও ঢুকল আবাসের তালিকায়
প্রাসাদপম বাড়ি মালিকের নামও আবাসের তালিকায়
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দুর্গাপুর: আবাসের তালিকায় ‘জাত’ বদল! জেনারেল কাস্ট হয়ে গেল এসটি। তালিকায় নাম ঢুকল রেশন ডিলারের। বিতর্কের মুখে ব্লক প্রশাসন। কোথাও বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় একই ব্যক্তির একাধিকবার নাম কোথাও আবার মৃত ব্যক্তির নাম। কুঁড়ে ঘরে থাকে অথচ নাম নেই গরিব মানুষের, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উঠছে এই অভিযোগ। এবার জাতি পরিবর্তন হয়ে আবাসের তালিকায় নাম ঢুকল বিলাসবহুল বাড়ি থাকা মৃণালকান্তি ঘোষ নামের এক রেশন ডিলারের।

কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা এলাকায় থাকেন মৃণালকান্তি ঘোষ। তিনি আবার বিদবিহার গ্রামের রেশন ডিলার। তিনি থাকেন বিদবিহারের জামদহ এলাকায় এই বিলাসবহুল বাড়িতে । তারপরেও কীভাবে বাংলা আবাস যোজনায় নাম ঢুকল ওই ব্যক্তির সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন যে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল, সেই তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছিল।

সম্প্রতি সেগুলি আবার ফিরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই রয়েছে পাকা বাড়ি। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসের তালিকায় নাম থাকা রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ধরনের কারও নাম আবাসের তালিকায় থাকার কথা নয়। এই তালিকা ২০১৮ সালে তৈরি হয়েছিল। তখন কার নাম ছিল তা জানতেন না তিনি। এখন সেই তালিকা বাছাই করা হচ্ছে। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই দেওয়া হবে বাড়ি।

সমালোচনায় সরব বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কী হাল! যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে।”

রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “আগে যে তালিকা ছিল সেগুলি সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি। এখন পর্যালোচনা চলছে। এইসব নাম যাচাইয়ের সময়ই বাদ চলে যাবে। যারা বাংলা আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তি তাদেরকেই দেওয়া হবে আবাসের পাকা বাড়ি।”

Next Article