Asansol : আসানসোল উপনির্বাচনে উত্তেজনা, বহিরাগতদের দিয়ে বুথ লুঠের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Aug 21, 2022 | 11:11 AM

Asansol news: পুলিশের বক্তব্য বহিরাগতদের সেখানে থাকতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়েই বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। একতরফাভাবে দেখা হচ্ছে গোটা বিষয়টি।

Asansol : আসানসোল উপনির্বাচনে উত্তেজনা, বহিরাগতদের দিয়ে বুথ লুঠের চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
আসানসোলের উপনির্বাচনে উত্তেজনা

Follow Us

আসানসোল : আসানসোলের পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচন রয়েছে রবিবার। এবার সেই উপনির্বাচন ঘিরেও অশান্তির অভিযোগ। পুলিশের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ও বিজেপি উভয় শিবির। ঘটনাটি জামুরিয়া এলাকায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপির থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, পাণ্ডবেশ্বর, বীরভূম ও বারাবনি থেকে বাইরের লোক ঢুকিয়ে বুথ লুঠের চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। ঘটনার প্রতিবাদে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর জে কে নগর মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রতিবাদের জন্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি বেধে যায়। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাও সেখানে চলে আসে। শুরু হয় দুই পক্ষের তপ্ত বাক্য বিনিময়। সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়।

জে কে নগর মোড় এলাকায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করেছিলেন। এই এলাকাটির একদিকে পঞ্চায়েত এলাকা এবং অন্যদিক পুর এলাকা। বিজেপির তরফে ওই এলাকায় ভিড় করা হলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের বক্তব্য বহিরাগতদের সেখানে থাকতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়েই বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। একতরফাভাবে দেখা হচ্ছে গোটা বিষয়টি। বিজেপির বক্তব্য, এটি বুথ এলাকা নয়। তাহলে কেন তাঁদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

উপনির্বাচনের এই অশান্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ” বিজেপি যেভাবে প্রচার এবং যে পদ্ধতি নিয়েছে, তাতে কীভাবে অশান্তি এড়ানো যাবে? বিজেপি তো চাইছে বাংলাকে অশান্ত করে পিছনের দরজা দিয়ে কিছু করার। তাই তো বলছে, ঝান্ডা ছেড়ে ডান্ডা ধরো। বিজেপি একসময় বলে আমাদের কোনও লোকজন নেই, আমরা কী মারামারি করব। আবার একসময় বলে ডান্ডা ধরো। ওদের কথার কোনও ঠিক নেই। শুধু অশান্তি করার চেষ্টা ছাড়া বিজেপির কাছে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।”

এদিকে জয়প্রকাশ মজুমদারে করিমপুরে ঘটনার কথা (জয়প্রকাশের উপর তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ) স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ছাড়া কোনও ভোটই শান্তিপূর্ণ হতে পারে না। সেই কারণে এই রাজ্যে মস্তানদেরই ভোট চলে। সেই কারণে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে মস্তানি কিছুটা কমে যায়। এদের থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। আমরা এই ব্যবস্থার ধিক্কার জানাচ্ছি।”

Next Article