আসানসোল : খারিজ হয়েছে জামিনের আবেদন। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও অনুব্রতর অনুগামীরা যে তাঁর পাশে আছেন, সে কথা আদালতের বাইরের চিত্রটা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। আদালত থেকে বেরিয়ে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন আশপাশের ভিড় থেকে উঠল জয় বাংলা স্লোগান। হেভিওয়েট নেতা আদালত থেকে বেরনোর সময় রাস্তার দু’পাশে প্রচুর মানুষের ভিড়। মূলত বেশিরভাগই তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা, তখনই রাস্তার দুই পাশ থেকে ওঠে জয় বাংলা স্লোগান।
প্রসঙ্গত, এদিন দুপুরে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হচ্ছিল, সেই সময়ও আদালত চত্বরে দেখা যায় তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের ভিড়। সেই সময়ও জয় বাংলা স্লোগান উঠেছিল অনুব্রত মণ্ডলের সামনে। এবার শুনানি শেষে আদালত থেকে অনুব্রত মণ্ডল বেরনোর সময়েও আবারও সেই এক ছবি। ফের উঠল জয় বাংলা স্লোগান। স্লোগান দিতে দিতে যে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অনুব্রত মণ্ডলকে, সেই গাড়ির পিছনে ছুটতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। যদিও তাদের হাতে তৃণমূলের কোনও পতাকা দেখা যায়নি।
অর্থাৎ, অনুব্রত মণ্ডলকে আবার চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আসার পরেও তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছাস এতটুকুও কমেনি। প্রতি মুহূর্তে যেন তাঁরা নিজেদের নেতাকে বুঝিয়ে দিতে চাইছিলেন, কর্মী-সমর্থকরা অনুব্রত বাবুর পাশে আছেন। প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে সিবিআই আইনজীবীদের তরফে তুলে ধরা হয়েছিল অনুব্রতর প্রভাবশালী তত্ত্ব। বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থাও খোঁজখবর নেন। কিন্তু দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর অনুব্রত মণ্ডলের আরও চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।