দুর্গাপুর: পাচার থেকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। চলছে কুকথার ফুলঝুরি। সমালোচকদের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরির মতো বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলায়। সেই হুঁশিয়ারিতে এবার পাল্টা মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। প্রবীণ সাংসদকে জুতো পেটার নিদান তাঁর গলায়। ফলত, নতুন করে নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে জুতো পেটা করার কথা বলেন তিনি। এ দিন বিজেপি নেতা বলেন, ‘সৌগত রায় বুড়ো মানুষ হাঁটতে পারেন না। পিছনে যদি কুকুর ঘেউ করে তাহলে পড়ে যাবেন উনি। তিনি ডায়লগ মারছেন পিঠের ছাল গুটিয়ে পায়ের জুতো তৈরি করবেন। আমি বলছি আপনি সাবধান থাকুন কয়েকদিন পরে পিঠের ছাল, পায়ের জুতো কিছুই থাকবে না। সবে শুরু হয়েছে। উনি একজন অধ্যাপক। আর বাংলার অধ্যাপকের এই নমুনা? আমরা উল্টো-পাল্টা বললেই বলে কুকথা বলছে দিলীপ ঘোষ। এদের পুজো করব ফুল দিয়ে? জুতো পেটা করা উচিৎ।’
এরপর দিলীপের সংযোজন, ‘একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক যদি এই কথা বলেন সেক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা নিশ্চই বুঝতে পারছেন! আমরা আমাদের রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একসময় গর্ব করতাম। আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এখানকারই বাংলামাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছিলাম। আর এখন রাজ্যের অধ্যাপক সৌগত বাবুর মতো লোকজন এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর মতো লোকজন। আর কত নীচে নামবেন।’
সৌগত রায়ের কোন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দিলীপ এমন বললেন?
বস্তুত, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের ‘সেলিব্রেশন’ ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাম-বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দেখা যায় ঢাক, ঢোল বাজিয়ে, গুড়-বাতাসা নকুল দানা নিয়ে ময়দানে নামতে। বিরোধীদের সেই অবস্থানের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলে ছিলেন, ‘যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। এই দিন অপেক্ষা করছে।’