আসানসোল: “নিজে দুটো কোম্পানির মালিক, বাবা ৫০০ কোটির, তারপরও গরিব ছেলেমেয়েগুলোর পেটে লাথি মেরে ২০-৩০ হাজার টাকাও নিয়ে নিচ্ছে।” অনুব্রতর মেয়ের চাকরি দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিরস্কার করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ দিলীপ ঘোষ। বুধবার জামুড়িয়ায় পুর উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন দীলিপ ঘোষ। এদিনই আবার অনুব্রত মণ্ডলের ১৭ কোটির ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। আবার হাইকোর্ট চাকরিতে অনিয়মের অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। সেই সব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনুব্রতর মেয়ে টেট পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি পেয়েছে। একটা গরিব ছেলে বা মেয়ের পেটে লাথ মেরে ২০ হাজার ৩০ হাজার টাকাও নিয়ে নিচ্ছে ওরা। নিজে দুটো কোম্পানির মালিক। তার বাবা ৫০০ কোটি টাকার মালিক। আবার ১৭ কোটি টাকা ধরা পড়েছে। টাকার খনি হয়ে গিয়েছে, কয়লা খনির মতো। ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে টাকা রাখার জন্য।” দিলীপ বলেন, এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই ধরণের নেতারা রাজনীতির কলঙ্ক। বাংলার কলঙ্ক। ভারতীয় জনতা পার্টি এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আগামী দিনেও করবে।”
উল্লেখ্য আসানসোল পুরনিগমের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পুরউপনির্বাচন। ২১ অগস্ট রয়েছে ভোট। মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে ভোট জিতিয়ে আনার জন্য এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। বিজেপি প্রার্থী ত্রিদীব চক্রর্বতীর হয়ে প্রচারে আসেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তখনই রাজ্যের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলি প্রসঙ্গে সরব হন।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতর কোটি টাকার সম্পত্তির পাশাপাশি যখন মেয়ের চাকরিতেও অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে, তখন রাজনীতিবিদরা আরও বেশি সরব হন। অভিযোগ, টেট পাশ না করেও স্কুলে শিক্ষকতা করেন সুকন্যা, তাও আবার স্কুলে না গিয়েই। অর্থাৎ একদিনও স্কুলে ক্লাস নিতে যাননি তিনি। বেতন পেয়েছেন প্রত্যেক মাসেই। আজ, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই সব প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন তিনি।