Coal Smuggling: কমছে না কয়লা-মাফিয়াদের দাপাদাপি! ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ৩০ টি লরি উদ্ধার
Paschim Bardhaman: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুলটি থানা ও সালানপুর থানায় কয়লা বোঝাই লরিগুলি আটক করা হয়
পশ্চিম বর্ধমান: সবাই ভেবে নিয়েছিল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের পরপর দু-দিনের অভিযানের পর খুলে গেছে প্যান্ডোরার বাক্স। সিবিআই আর ইডির হাজার চেষ্টার পরও কয়লার (Coal Scam) ময়লা যে পুরোপুরি ধুয়ে ফেলা যায়নি, তা আরও একবার প্রমাণিত হল ডুবুরডিহি চেকপোস্টে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় কুলটি থানা ও সালানপুর থানায় কয়লা বোঝাই লরিগুলি আটক করা হয়। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডুবুরডিহি চেকপোস্টে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের অভিযানে ঝাড়খণ্ড থেকে এই রাজ্যে আসার পথে ধরা পড়েছে ৩০ টি লরি। তাতে ছিল বেআইনি খনি থেকে তোলা কয়লা। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪ জনকে।
পরপর এতগুলি কয়লা বোঝাই লরি ধরা পড়ার পর পুলিশ মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কীভাবে পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে এই অন্ত:রাজ্য বেআইনি কয়লার কারবার চলছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কমিশনারেটের ডিসি (ওয়েস্ট) অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ট্রাক চালকদের কাছে উপযুক্ত কাগজপত্র ছিল না বলেই তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলার পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম-এই জেলাগুলির পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তর প্রদেশের বেআইনি কয়লার কারবার বন্ধ করতে ২০২০ সালের প্রায় গোড়া থেকেই উঠে-পড়ে লেগেছিল সিবিআই ও ইডি। সেই সময়ে বিধানসভা নির্বাচন আবহে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির ধরপাকড় নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সিবিআই ও ইডির দৌলতে কয়েকটি বড় বড় কয়লা দুর্নীতির খবর সামনে আসে। তাতে অনেকেই মনে করেছিলেন হয়ত বা কয়লার চোরাচালান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তবে, সাম্প্রতিক ছবি তা বলছে না। গত চারদিন ধরে শুরু হওয়া অভিযানে পুলিশ কিছু সাফল্যও পেয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় এখনও বেআইনি কয়লার কারবার করা চালিয়ে যাচ্ছে এমন অন্তত দুজনের নাম উঠে এসেছে বলে কমিশনারেট সূত্রে জানা খবর। শুরু হয়েছে তল্লাশিও।
ঝাড়খণ্ডের মুগমা, নিরসা,গোবিন্দপুর থেকে লরি বোঝাই কয়লা নিয়ে ডুবুরডিহি চেকপোস্ট পার করে এই কয়লা চলে যেত কলকাতা। প্রতি টন কয়লা বিক্রি হতো ১০ হাজার ২০০ টাকা করে। ঝাড়খন্ড থেকে কয়লা বোঝাই ট্রাক কাঁটাঘরে কয়লা ওজন করিয়ে জাতীয় সড়কে এসে উঠলেই সেই অবৈধ খনির কয়লা ‘বৈধ’ তকমা হয়ে যেত। এরজন্য খরচ করতে হত ৬০০ টাকা। তাতেই পাওয়া যেত চালান, ওয়েবিল, বনবিভাগের কাগজ, জিএসটির কাগজ সবকিছুই। কমিশনারেট সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মূল চক্রীদের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: ‘বৈঠকে ডাকলে DM-CM যান না, খালি ট্যাবলো পাঠান…রাজনীতি করেন’
আরও পড়ুন: ‘একটা ট্যাবলো থাকলে কী ক্ষতি হত?…বাতিলের কারণ দর্শাননি আপনারা‘