Asansol Municipal Election: কেবলই ভোট আসে-যায়! রাস্তার অভাবে ৩০ বছর ধরে বিচ্ছিন্ন গোটা গ্রাম, ঢুকতে পারে না অ্যাম্বুলেন্সও
Kulti: ইস্কো বাইপাস রানিসায়ের মোড় থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে দিলেই মূল শহরের সঙ্গে মিশে যাবে বিনোদবাঁধ, সালোনি, জুনুট ভালাডিহার মতো আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলি।
পশ্চিম বর্ধমান: বেহাল রাস্তার (Road) কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে একটা গোটা গ্রাম। রাতবিরেতে হঠাৎ করে কারও শরীর খারাপ হলে মৃত্যু নিশ্চিত। কারণ? এই গ্রামে ঢুকতে পারে না কোনও চারচাকা, ছোট-বড় গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স। অথচ, জেলা সদর থেকে কুলটির এই গ্রামের দূরত্ব মোটে ৭ কিলোমিটার। কেবল ভোট আসে-যায়। কিন্তু, রাস্তার সংস্কার হয় না।
গ্রামের নাম বিনোদবাঁধ। ভৌগোলিক অবস্থান বলছে, বিনোদবাঁধ পাণ্ডববর্জিত গ্রাম কিন্তু নয়। গ্রামের চারপাশে তিন কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে জমাটি বাজার চিনাকুড়ি। বার্ণপুর, ও ইস্কো বাইপাস রোড। তফশীলি ও আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে প্রায় ২হাজার পরিবারের বসবাস। গ্রামে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামের ভেতরের রাস্তা ঢালাই করা। কিন্তু চারপাশ দিয়ে গ্রামে ঢোকার রাস্তা নিয়ে কেউ কখনও ভাবেননি।
ইস্কো বাইপাস রানিসায়ের মোড় থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে দিলেই মূল শহরের সঙ্গে মিশে যাবে বিনোদবাঁধ, সালোনি, জুনুট ভালাডিহার মতো আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলি। রানিসায়রের থেকে বিনোদবাঁধ যাওয়ার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। চারচাকা গাড়ি শুধু নয়, দুইচাকা গাড়ি নিয়ে গ্রামে যাওয়া প্রায় অসাধ্য।
গোটা রাস্তা খানাখন্দে ভরা আর মাটির পরিবর্তে রয়েছে বড় বড় পাথর। স্থানীয় ভাষায় বলা হয় বোল্ডার। প্রায় ৩৫ বছর আগে ডিসেরগড় নোটিফায়েড থেকে বোল্ডার আর মোরাম দিয়ে চলাচলের যোগ্য রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। ব্যস ওই পর্যন্তই! তারপর কত জল বয়ে গিয়েছে। রাস্তা আছে রাস্তাতেই!
ওই রাস্তায় এখন পড়ে রয়েছে শুধু পাথর বা বোল্ডার। পায়ে হেঁটে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। রাতবিরেতে অসুখ বিসুখ বা প্রসব যন্ত্রণা উঠলে প্রমাদ গোনেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের প্রবীণ মহিলাদের দাবি গ্রামে কোনও আত্মীয়রা আসতে চাননা। বেহাল রাস্তার জন্য উন্নয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন গ্রাম।
তৎকালীন, সিপিআইএম কাউন্সিলরের দাবি ওই রাস্তাটি নিয়ে তিনি বারবার পুরনিগমের আবেদন করেছেন। গ্রামবাসীদের নিয়ে মাসপিটিশন করেছেন। তাও কোনো কাজ হয়নি। তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক তথা এডিডিএর ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় রাস্তাটি তৈরি করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন দু’কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়নি। ভোট আসছে, ভোট যাচ্ছে। কোথায় রাস্তা! কবে তৈরি হবে সেই রাস্তা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: কেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে গরহাজির জেলাশাসকরা? প্রশ্ন তুলে তোপ শুভেন্দুর