Dilip Ghosh on DM-PM meeting: ‘বৈঠকে ডাকলে DM-CM যান না, খালি ট্যাবলো পাঠান…রাজনীতি করেন’

Kolkata: শুভেন্দু অধিকারী যে দাবি করছেন,  অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আমলারা এড়িয়ে যাওয়া, এমন ঘটনা আগেও হয়েছে বাংলায়। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

Dilip Ghosh on DM-PM meeting: 'বৈঠকে ডাকলে DM-CM যান না, খালি ট্যাবলো পাঠান...রাজনীতি করেন'
কমিউনিস্টদের আক্রমণ দিলীপের, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 11:41 AM

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ডাকলে রাজ্যের জেলাশাসক বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা পাওয়া যায় না বলে এ বার অভিযোগ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর স্পষ্ট দাবি, কেবল ট্যাবলো পাঠিয়ে রাজনীতি করে তৃণমূল। রবিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ কালে ফের রাজ্যকে নিশানা করলেন বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh)।

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ডাকলে রাজ্য়ের ডিএম-সিএম-এর দেখা পাওয়া যায় না। তাঁরা আসেন না। এদিকে রাজ্য সরকার ট্যাবলো পাঠাবে। ট্যাবলো যদি কোনও কারণে বাতিল হয় তবে রাজনীতি করবে। এই রাজনীতি কার জন্য করা হচ্ছে, আশা করছি অন্তত বাংলার মানুষের জন্য নয়।”

শনিবার বিকেল দেশের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi meets District Magistrates)। বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন তিনি জেলাশাসকদের সঙ্গে। কাজে আরও বেশি গতি আনার কথা বলেছেন জেলাশাসকদের। কিন্তু, সেখানে দেখা মেলেনি পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসকদের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

টুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ একাধিক রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে নিজের মত বিনিময় করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। জেলাশাসকদের থেকে সরাসরি প্রতিক্রিয়া নিয়েছেন।” সঙ্গে আরও একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে লেখেন, “দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসকরা তাঁদের রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ মতো ওই বৈঠকে ছিলেন না। এই ধরনের অসহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে একটি অপমানজনক এবং পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে বড় বাধা হতে পারে।”

উল্লেখ্য,  শুভেন্দু অধিকারী যে দাবি করছেন,  অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আমলারা এড়িয়ে যাওয়া, এমন ঘটনা আগেও হয়েছে বাংলায়। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তারপর অতি সম্প্রতি আইএএস সার্ভিস রুলে সংশোধনীর বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক কার্যত ‘বয়কট’ করার অভিযোগ উঠল বাংলার জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে।

যদিও, পাল্টা তৃণমূলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভঙ্গ করছেন। কারণ, সরাসরি জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করা সম্ভব নয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা  করা দরকার। নিদেনপক্ষে মুখ্য সচিবের উপস্থিতিও দরকার। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বৈঠক করেছেন তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বিরোধী বলেই দাবি তৃণমূলের।

শনিবারের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন,  জেলার কর্ম দক্ষতার ওপর নির্ভর করেই বিশ্বে সেই জেলা আলাদা পরিচয় লাভ করতে পারবে। জেলাশাসকদের তাঁর বার্তা, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের জেলাকে তুলে ধরার দায়িত্ব আপনাদের।” জেলার বাসিন্দাদের বিশেষ দক্ষতা খুঁজে বের করে সেটা কাজে লাগানোর জন্য জেলাশাসকদের আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

অন্যদিকে, ট্যাবলো-বিতর্কে কেন্দ্র-রাজ্যে নয়া সংঘাত। নেতাজির ট্যাবলো বিতর্কের জেরে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। কেন প্রজাতন্ত্র দিবসে বাদ পড়ল নেতাজির ট্যাবলো? রাজ্যের তৈরি ট্যাবলো কেন বাদ দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলেই দায়ের হয়েছে এই মামলা। মামলাকারীর দাবি, কেন বাদ দেওয়া হল, সে বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। নেতাজির ট্যাবলো অবিলম্বে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা উত্তর দিয়েছেন রাজনাথও। কিন্তু বিতর্ক থামেনি। ২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসেও রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, জল ধরো জল ভরো-র মতো বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্প নিয়ে  ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব দেয়, সেবারও বাদ পড়ে বাংলার ট্যাবলো।

আরও পড়ুন: Aparna Yadav Meets Amit Shah: আশীর্বাদ চান অপর্ণা! শাহি-সাক্ষাতে মুলায়মের ‘ছোটি বহু’