Asansol news: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কাটল ‘অন্ধকার’, গ্রামে বিদ্যুৎ আসতেই চলল ‘খেলা হবে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 27, 2022 | 5:13 PM

Asansol: গ্রামে আলো আসতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে সঙ্গে আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা ধামসা মাদল নিয়ে আনন্দে নেচে ওঠেন।

Asansol news: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কাটল অন্ধকার, গ্রামে বিদ্যুৎ আসতেই চলল খেলা হবে
গ্রামে ফিরল আলো

Follow Us

আসানসোল : বিদ্যুতহীন গ্রামে জ্বলে উঠেছে আলো। কিন্তু এই আলো নিয়ে আসার কৃতিত্ব কার? বিজেপি বিধায়ক নাকি তৃণমূল কাউন্সিলর? সেই নিয়েই এখন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিদ্যুৎহীন নামো জামডোবা গ্রামে রবিবার গিয়েছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তখনই দেখা যায় বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা হয়ে গিয়েছে। আর সোমবারই ওই গ্রামে জ্বলে উঠল বিদ্যুতের আলো। ট্রায়াল হিসাবে এদিন ইলেকট্রিক চার্জ করা হয়। গ্রামে আলো আসতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরকে সঙ্গে আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা ধামসা মাদল নিয়ে আনন্দে নেচে ওঠেন।

বিদ্যুৎহীন নামো জামডোবা গ্রামের অন্ধকার দশার কথা ১৫ জুন তুলে ধরা হয় টিভি নাইন বাংলায়। সেই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জামডোবা গ্রামে এলো জ্বলে উঠল। দীর্ঘদিন ধরে আলোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না এই গ্রামে। কিন্তু শেষে বিদ্যুৎ এল নামো জামডোবায়। সোমবার সকালে সেখানে জ্বলে উঠল আলো। এবার থেকে আর এই গ্রামে পড়ুয়াদের পড়াশুনায় কোনও অসুবিধা হবে না। তবে এরই মধ্যে আবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গ্রামে আলো আনার কৃতিত্ব কার? এই গ্রামকে আলোকিত করার কাজে বিজেপি ও নিজেদের উদ্যোগকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তীর আবার দাবি, গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে তৃণমূলের উদ্যোগেই।

তবে কৃতিত্ব যাঁরই থাক, রাজনৈতিক তরজা যাই হোক না কেন, এত বছর পর গ্রাম অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরায় আনন্দে মেতেছেন গ্রামবাসীরা। সোমবার গ্রামের মানুষকে দেখা গেল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়েই আনন্দে আত্মহারা হতে। ধামসা মাদল নিয়ে আনন্দে মেতে উঠলেন গ্রামবাসীরা। চলল খেলা হবে গান।

উল্লেখ্য, এই গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি আগেই পড়েছিল। তবে বিলম্ব হচ্ছিল বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল তৎপর হয়ে উঠেন। কেন বিদ্যুৎ সংযোগে দেরি, সেই খোঁজ খবর নেন। রবিবার গ্রামেও গিয়েছিলেন তিনি।

Next Article