দুর্গাপুর: রক্ষকই যখন ভক্ষক! এ যেন তারই উদাহরণ। রাত্রিবেলার ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ কর্তব্যরত এসএসবি (সীমা সুরক্ষা বল) জওয়ানের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর স্টেশনে ঢোকার আগে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার অভিযুক্ত জওয়ানকে রেল পুলিশ গ্রেফতার করে আসানসোল আদালতে তোলে। ফলত প্রশ্নের মুখে যাত্রী নিরাপত্তা।
সোমবার ঘড়িতে তখন রাত্রি ন’টা বেজে পঞ্চাশ মিনিট। হাওড়া থেকে কালকাতাগামী নেতাজী এক্সপ্রেসে চড়ে দুর্গাপুর আসছিলেন ওই তরুণী। ট্রেনের একই কামরায় ছিলেন এসএসবির এক ব্যাটিলিয়ানও। তরুণীর অভিযোগ, ওই জওয়ান হঠাৎ করেই ট্রেনের মধ্যেই অভব্য আচরণ শুরু করেছিল তাঁর সঙ্গে। যা চরম পর্যায়ে পৌঁছোয় রাত বারোটা নাগাদ। সেই সময় যখন এই তরুণী দুর্গাপুর স্টেশনে নামতে যান।
অভিযোগ, এসএসবির এই জওয়ান আচমকাই জাপটে ধরে তরুনীকে। গোপানঙ্গে হাত দেন বলেও অভিযোগ। এরপর তরুণীর চিৎকারে সহযাত্রী ও রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত জওয়ানকে আটক করে। মঙ্গলবার সকালে অন্ডাল জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে তোলে পুলিশ । সোমবার রাতে দুর্গাপুর স্টেশনের এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে চলন্ত ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা।
অভিযোগকারী তরুণী বলেন, ‘৯.৫০ এ ট্রেন ছিল হাওড়া থেকে। সেই মতো আমি ট্রেনে চড়ি। এরপর আমি ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর পৌনে বারোটা নাগাদ ট্রেনের গেটের কাছে চলে আসি নামার জন্য। একজন এসএসবি ব্যাটেলিয়ানের একটি দল ছিল কোচে আমার সঙ্গে। তার মধ্যে একজন খালি গায়ে ছিলেন। এরপর অন্যান্য যাত্রীরা যখন অভিযোগ জানায় তখন প্যান্ট পরানো হয় অভিযুক্তকে। উনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। প্রচণ্ড মদ খেয়ে ছিলেন। পিছন থেকে জাপটে ধরেন আমাকে। সঙ্গে কটূক্তি করতে শুরু করেন। এরপর আমি ভয়ে বাথরুমে চলে যাই। তখন বাকি জওয়ান ও টিটিরা চলে আসে। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’