Anubrata Mondal: টেম্পারিংয়ের আশঙ্কা আইনজীবীর, অনুব্রতর সিজ হওয়া মোবাইল CID-র ল্যাবে পাঠানোর দাবি

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 15, 2022 | 11:26 PM

Anubrata Mondal: শেষ পর্যন্ত অনুব্রতর আইনজীবির অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল ফোন দুটি সিএফএসএল অর্থাৎ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Anubrata Mondal: টেম্পারিংয়ের আশঙ্কা আইনজীবীর, অনুব্রতর সিজ হওয়া মোবাইল CID-র ল্যাবে পাঠানোর দাবি
প্রতীকী ছবি

Follow Us

আসানসোল: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দুটি মোবাইল ফোন সিজ করেছে সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, সিজ করার প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হয়নি। এদিন এ অনুব্রত মামলার শুনানি চলাকালীন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবি অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। তাঁর অভিযোগ, হ্যাশভ্যালু বা ডিজিটাল লক না করেই দুটি মোবাইল নিজেদের কাছে রেখেছে সিবিআই। এমনকী সিজ করার সাত দিন পর তা জানানো হয়েছে আদালতে। অনুব্রতর আইজীবীর স্পষ্ট প্রশ্ন এই সাতদিন কোথায় ছিল মোবাইল ফোন ? কীভাবে ছিল মোবাইল ফোন? তাঁর দাবি এই তথ্য আদালতে জানাক সিবিআই। ইতিমধ্য়েই তিনি আবার মোবাইল ফোন টেম্পারিংয়েরও আশঙ্কা করেছেন। এমনকী প্রয়োজনে মোবাইলগুলি  সিআইডির ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোরও দাবি তুলেছেন তিনি। যা নিয়েই শুরু হয়েছে শোরগোল।

এ প্রসঙ্গে অনুব্রতর আইনজীবীর সাফ কথা, “আমাদের আশঙ্কা এই সময় মোবাইল ফোন টেম্পার হতে পারে। এই মোবাইল ফোনকেই আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের সুপ্রিম এজেন্সি নিজেরাই নিজেদের আইন মানছেন না। তাদেরই ম্যানুয়েলে এই পদ্ধতির কথা উল্লেখ আছে। তাই আমরা চাইছি আদালতে বিচারকের সামনে মোবাইল ফোন জমা করুক সিবিআই। আদালতেই বিচারকের সামনে অনুব্রত ও এক্সপার্টকে ডিজিটাল লক করে পাঠানো হোক ফরেন্সিক ল্যাবে। যেহেতুর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সেহেতু নিরপেক্ষ কোনও ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হোক মোবাইল ফোন।” অনির্বাণ গুহঠাকুরতার অভিযোগ, ১১ অগস্ট অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন। বিকেল ৩ টে ৪০ মিনিটে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মোবাইল ফোন সিজ দেখানো হয়েছে ৩ টে ৩৮ মিনিট নাগাদ। কিন্ত মোবাইল সিজের বিষয়টি আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে ১৮ তারিখ।

সূত্রের খবর, তাঁর দাবি শোনার পর বিচারক তাঁকে বলেন, “আপনিই বলুন কোন নিরপেক্ষ এজেন্সির ফরেন্সিক ল্যাবে মোবাইল ফোন পাঠানো যেতে পারে।” আইনজীবি অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলে ওঠেন, “সিআইডির ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হোক।” তাঁর কথা শুনে কার্যত হাসির রোল ওঠে এজলাসে। সূত্রের খবর এরপর হাসতে হাসতে বিচারকনিজেই বলেন, “সে তো আমি আন্দামানের পুলিশের কাছেও ল্যাবে পাঠাতে পারি।” যদিও শেষ পর্যন্ত অনুব্রতর আইনজীবির অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল ফোন দুটি সিএফএসএল অর্থাৎ সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। একইসঙ্গে গত ১৮ অগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ওই দুটি ফোনে কোনও ট্যাম্পার হয়েছে কিনা তার রিপোর্টও আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Next Article