পশ্চিম বর্ধমান: পাচার তদন্তে সিবিআই-ইডি-র সাঁড়াশি চাপের মধ্যেই এবার আসরে সিআইডি। এজেন্সি বনাম এজেন্সির লড়াইয়ে তেতে বাংলা। কয়লাপাচার মামলায় এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি শুক্রবার ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছিল সংস্থা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ৭ সেপ্টেম্বর মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে সিবিআই হানার পাল্টা?
কয়লার কালি। তদন্তের আঁচে তেঁতে গোটা বাংলা। সিবিআই ইডির সাঁড়াশি চাপে বিস্তর বেকায়দায় রাজ্যের শাসকদল। নাম জড়িয়েছে নেতা মত্রী, ভিভিআইপি ঘনিষ্ঠদের। কখনও খোদ মমতার সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেককে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে। আবার তৃণমূল সেনাপতির শ্যালিকার তলব। জোড়া কেন্দ্রীয় এজেন্সির নেক নজরে মন্ত্রী মলয় ঘটকও।
৭ সেপটেম্বর পরপর বাড়িতে সিবিআই হানার পর দিল্লিতে তলব করে ইডি। বাংলার শাসকদলের ইমেজের ড্যামেজ করতেই সিবিআই হানা? প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
পুরোনো কয়লা পাচার মামলায় এবার তেড়ে ফুঁড়ে আসরে নামে সিআইডি। আসরে নেমেই সরাসরি আসানসোলের হেভিওয়েটকে টার্গেট রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার। প্রাক্তন মেয়রকে নোটিশ ধরাল সিআইডি।
কয়লাপাচার কাণ্ডে জিতেন তিওয়ারিকে তলব করেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার তাঁকে ভবানী ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়লাপাচারের তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিআইডি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তার ভিত্তিতেই জিতেন তিওয়ারিকে তলব করা হয়।
কয়লাপাচার কারবারের মূল সময়টা জিতেন তিওয়ারি আসানসোল পুরসভার মেয়র ছিলেন। তাঁর পুরসভা এলাকার মধ্যেও কয়লাপাচারকারীরা সক্রিয় ছিল। সে সময় প্রশাসক হিসাবে তাঁর ভূমিকা ঠিক কী ছিল? কয়লাপাচারের বিষয়ে তিনি কী জানতেন?
যদি তিনি জেনে থাকেন তাহলে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি?কয়লাপাচারের বিষয়ে কাউকে কিছু জানিয়েছিলেন কি? নোটিস তিনি পেয়েছেন, তদন্ত সহযোগিতা করবেন, বলে জানিয়েছেন জিতেন তিওয়ারি। তবে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলতেও ছাড়েননি আসানসোলের বিজেপি নেতা। একদিকে সিবিআই-ইডি, অন্যদিকে সিআইডি। ইটের বদলে পাটকেলের তত্ত্বে শান দিয়ে তুমুল বাগযুদ্ধে শাসক বিরোধী।