Cow Smuggling: ‘জেসিবি দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেল বাংলাদেশ’, গরুপাচারে খোদ পুলিশকেই এবার কাঠগড়ায় তুলল গোরক্ষা কমিটি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 20, 2022 | 7:15 AM

Cow Smuggling: প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আসানসোল-ঝাড়খন্ড থেকে গরুপাচার বেড়ে গিয়েছে রাতারাতি। ডুবুরি চেকপোস্টের কাছ নিয়মিত অভিযান ঝাড়খন্ড পুলিশের।

Cow Smuggling: জেসিবি দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেল বাংলাদেশ, গরুপাচারে খোদ পুলিশকেই এবার কাঠগড়ায় তুলল গোরক্ষা কমিটি
আসানসোল কি গরুপাচারের নয়া করিডর? (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

আসানসোল: কখনও কন্টেনারে করে, কখনও আবার পিকআপ ভ্যানে। প্রায়শই রাজ্যবাসী দেখে গরু পাচারের নয়া পদ্ধতি। বীরভূম-মুর্শিদাবাদ থেকে হামেশাই সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। তবে এবার পাচারের কি নতুন পথ খুঁজে নিয়েছে পাচারকারীরা? বিহার-ঝাড়খন্ড হয়ে গরু বোঝাই গাড়ি আসানসোলে ঢুকছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। কারণ ঝাড়খন্ড-আসানসোল সীমানায় লাগাতার অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের ধরছে পুলিশ। তবে বাংলায় ঢুকলে উধাও হয়ে যাচ্ছে সব গরু। এমনটাই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাঁদের মতে পুলিশের মদতেই রমরমিয়ে এখানে চলছে পাচার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আসানসোল-ঝাড়খন্ড থেকে গরুপাচার বেড়ে গিয়েছে রাতারাতি। ডুবুরি চেকপোস্টের কাছ নিয়মিত অভিযান ঝাড়খন্ড পুলিশের। গত দুমাসে চারবার গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক। কিন্তু গাড়ি একবার বাংলায় ঢুকলেই আর গরুপাচারের কোনও বিষয়ই থাকছে না। যেন গরুপাচার বলে কোনও বিষয়ই নেই।

গো-রক্ষা কমিটি কী বলছে?

এ দিকে আসানসোলের গো-রক্ষা কমিটির বক্তব্য, পুলিশের মদতেই হচ্ছে এই পাচার। পাচারকারীদের কাছে গরু পৌঁছে দেয় খোদ পুলিশ। আর পাচার ধরলে চাপ দিতে মামলা করা হয়। গো-রক্ষা কমিটির এক কর্তা বলেন, ‘২০১৪-২০১৫ বিভিন্ন সময় আমরা গরু ধরেছি এখানে। তবে ধরার পর উল্টো কেস আমরাই খেয়েছি। ২০১৪ সালে আমরা প্রায় ১৫০০ গরু ধরেছিলাম এগরা গ্রামে। এরপর ওই গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরজা গ্রামে। তিনদিন পর লাঠিপেটা করে পুলিশ। তারপর ৫১ টি লরিতে করে জেসিবি দিয়ে গরু উঠিয়ে পুলিশ নিয়ে চলে গেল বাংলাদেশ। যখন পুলিশ-প্রশাসন নিষ্কৃয় থাকে তখন জনতা কী করবে?’

বিজেপি জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘গরু পাচারের সেফ করিডর বানানো হচ্ছে আসানসোলকে। দিলীপ ঘোষ সঠিক দাবি করেছেন। সব সময় সাধারণ মানুষেরই চোখে পড়ছে পাচার?পুলিশ কখনও কিছু করতে পারছে না? পুলিশ এখানে চুপ থাকে শুধুমাত্র একটা দলকে খুশি করার জন্য।’ অপরদিকে তৃণমূল ব্লক সভাপতি গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নিরসা ঝাড়খন্ড এলাকার। আমাদের কাছে খবর আছে বিহারের চসা থেকে এই গরু আমদানি হয়। তাই আগে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এই সকল জায়গা থেকে গরুপাচার বন্ধ করুক।’

 

 

 

 

 

 

Next Article