Durgapur: ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিল, পরে কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে
Durgapur: গত ৯ জুলাই কেন্দ্রীয় শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে সারা ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং শিল্প ফেডারেশন। দুর্গাপুরে ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা তথা শ্রমিক সংগঠন সিটুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সিদ্ধার্থ বোস।

দুর্গাপুর: গত ৯ জুলাই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন। সেইটাই বোধহয় অপরাধ। সিটু নেতাকে শাস্তি তৃণমূলের। ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ সিটু নেতা সিদ্ধার্থ বোসকে কাজে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ৩ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ সিটুর। ভিত্তিহীন অভিযোগ দাবি ৩ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি রিন্টু পাঁজার।
গত ৯ জুলাই কেন্দ্রীয় শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে সারা ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এবং শিল্প ফেডারেশন। দুর্গাপুরে ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা তথা শ্রমিক সংগঠন সিটুর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সিদ্ধার্থ বোস। তিনি দুর্গাপুরের কাঞ্জিলাল অ্যাভিনিউয়ের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার স্থায়ী কর্মী। ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেওয়ায় অপরাধে তাঁকে কারখানার কাজে যোগ দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে ৩নং ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রিন্টু পাঁজার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে কেন সিদ্ধার্থ কাজে যাননি। সিদ্ধার্থ বলেন, “আমি ধর্মঘটের দিন কারখানায় যাইনি। আর আমাদের কারখানায় নৌ ওয়ার্ক নৌ পে। ধর্মঘটের দিন আমি যাইনি। পরের দিন যখন যাইন আইএনটিটিইউসি-র লোক এসে বলছে কারখানায় ঢোকা যাবে না। বাধা দেয় কাজ করতে।”
যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছে, তারা কোনও শ্রমিককের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি। কেন সিদ্ধার্থ বোসকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে তিনি জানেন না। কারখানার বাইরে কী ঘটনা ঘটেছে তাদের জানার কথা নয়। জেলা তৃণমূল মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আজগুবি কথা যত। জেল সভাপতি অনেক কাজে ব্যস্ত থাকেন। কর্তৃপক্ষ যখন অ্যকশন নেন তখন নিয়ম মেনেই নেওয়া হয়।”

