Durgapur: গা পাকিয়ে উঠছে বমি, কারও আবার পায়খানা, হঠাৎ কী হল দুর্গাপুরে?
Paschim Bardhaman: এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন,সরকারি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর জন্য পাইপলাইন বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই জল এখনও পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অসুস্থ মহিলার স্বামীর অভিযোগ তার স্ত্রীর মাথা ঘুরতে থাকে।
কাঁকসা: কারও বমি, কারও পায়খানা। লাগাতার অসুস্থতায় ভুগছেন দুর্গাপুরবাসী। এমনকী মৃত্যু হয়েছে একজনের। অসুস্থ প্রায় পাঁচজন। আতঙ্কে ভুগছেন কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহা এলাকায়। মৃতার নাম ঊর্মিলা মুর্মু (৩৫)। অসুস্থ ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে,কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা বমি,পায়খানার সমস্যায় ভুগছেন। শনিবার প্রথমে উর্মিলাকে দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রবিবার স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকারি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছনোর জন্য পাইপলাইন বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই জল এখনও পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অসুস্থ মহিলার স্বামীর অভিযোগ তার স্ত্রীর মাথা ঘুরতে থাকে। বমি,পায়খানা হতে থাকে। অচৈতন্য হয়ে পড়লে স্ত্রীকে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে পঞ্চায়েত থেকে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করা হচ্ছে এলাকায়।
সোমবার একবার জল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই জলের গুণমান খারাপ থাকায় বাধ্য হয়ে টিউবওয়েলেরই জল খেতে হচ্ছে। এর ফলে বিপদে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরও চার জনকে। তাদের মধ্যে বুখী হাঁসদা নামের এক মহিলার অবস্থা গুরুতর। তাকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এলাকার কয়েকটি টিউবওয়েল সিল করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন কাঁকসার বিডিও পর্ণা দে।
বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ঘর ঘর জল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পরিশ্রুত জল পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও রাজ্য সরকার সেই প্রকল্পের নিজের নাম দিচ্ছে। তাও জল পৌঁছে দিতে পারছে না। দুর্ভাগ্যের বিষয়। এই জন্যই মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে একের পর এক সাধারণ মানুষকে। রাজ্য সরকার ও এলাকার বিধায়ক পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে তীব্র ধিক্কার জানান তিনি।”
এলাকায় মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে নতুন করে কেউ অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পরিশুদ্ধ জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।