Kazi Nazrul University: ‘কাজি নজরুলে’ কাজিয়া চরমে! ক্যাম্পাসে স্লোগান নয়, হুঁশিয়ারি উপাচার্যের, প্রতিবাদে রাস্তায় অধ্যাপকরা

সুমন মহাপাত্র | Edited By: Soumya Saha

Mar 21, 2023 | 12:30 PM

Kazi Nazrul University: কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার পর থেকেই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীও।

Kazi Nazrul University: কাজি নজরুলে কাজিয়া চরমে! ক্যাম্পাসে স্লোগান নয়, হুঁশিয়ারি উপাচার্যের, প্রতিবাদে রাস্তায় অধ্যাপকরা
আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

Follow Us

আসানসোল: উপাচার্য বনাম অধ্যাপক সংঘাত আরও চরমে উঠেছে আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে (Kazi Nazrul University)। কার্যত এক অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শিক্ষাঙ্গনে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন সেখানকার অধ্যাপকরা। সোমবার আসানসোলের চেলিডাঙা থেকে বিএনআর মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন অধ্যাপকরা। বিএনআর মোড়ে ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বরখাস্ত রেজিস্ট্রারকে কাজে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা। একইসঙ্গে সুর চড়াচ্ছেন উপাচার্যের বিরুদ্ধেও। উল্লেখ্য, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার পর থেকেই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীও।

সম্প্রতি কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একটি বিবৃতিও জারি করেছেন। কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও স্লোগানিং ক্যাম্পাসের ভিতরে বরদাস্ত করা হবে না। ক্যাম্পাসের মধ্যে এই ধরনের স্লোগানিং-এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন উপাচার্য। সাধন চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে স্লোগান শাউটিং বন্ধ করতে হবে। নাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একদিকে অধ্যাপকরা আন্দোলেন সামিল, অন্যদিকে অধ্যাপকও কঠোর মনোভাব। সব মিলিয়ে দুই পক্ষের কেউই হাল ছাড়ছে না।

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবস্থা নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকারের সঙ্গে। তাঁর কথায়, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বললেন, ‘ক্যাম্পাসে এই চেহারা থাকার কথা নয়। অধ্যাপকদের থাকার কথা ক্লাসরুমে। আবার উপাচার্য অধ্যাপকদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, এটিও কাম্য নয়। কিন্তু এটি কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন সময়ে এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে। এর কারণ হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক স্টেক হোল্ডারদের যেভাবে চলার কথা তেমনভাবে হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি বার বার ভাঙতে দেখা যাচ্ছে। সেই কারণে অধ্যাপকমহল প্রতিবাদ করছে। আর এই চেহারা শেষ পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ও পঠন-পাঠন ব্যবস্থার ক্ষতি করছে। এর জন্য দায়ী করতে হবে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে।’

Next Article