Malay Ghatak letterpad: ফাঁকা পাতায় থাকত মন্ত্রীর স্বাক্ষর, বিক্রি করা হত লেটার প্যাড!

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 27, 2022 | 9:10 AM

Malay Ghatak letterpad: রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম থাকা লেটার প্যাড দিয়ে নানা ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত সামনে এল আসল ঘটনা।

Malay Ghatak letterpad: ফাঁকা পাতায় থাকত মন্ত্রীর স্বাক্ষর, বিক্রি করা হত লেটার প্যাড!

Follow Us

আসানসোল : লেটার প্যাডে রয়েছে খোদ মন্ত্রীর সই। মন্ত্রীর নাম দেখালে সুবিধা পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রেই। তাই সেই লেটার প্যাড বিক্রি করছিলেন এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হল ইসিএলের ওই কর্মীকে। আসানসোলের জামুড়িয়ার পানিহাটি এলাকার ঘটনা। মন্ত্রীর সই কোথা থেকে তিনি পেলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতের নাম রণজিৎ রায়। শুক্রবার পানিহাটি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

রণজিৎ রায় নামে ওই ব্যক্তি জামুড়িয়ার পনেহাটি ইসিএল ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন। ওয়ার্কশপের ফিটার কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পানিহাটিতে তিনি ইসিএলের আবাসনেই থাকেন বলে জানা গিয়েছে। মন্ত্রীর অফিস থেকে খবর গিয়েছিল পুলিশের কাছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

রণজিৎ রায় নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি এই লেটার প্যাড দিয়ে টাকা রোজগার করতেন তিনি। লেটার প্যাড, মন্ত্রীর স্বাক্ষর বা স্ট্যাম্প, সবটাই ভুয়ো বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মন্ত্রীর সই করা কাগজ থাকলে হাসপাতাল থেকে শুরু করে অনে ক্ষেত্রেই সুবিধা পাওয়া যায়। আর সেটাই কাজে লাগাতেন রণজিৎ। তিনি নাকি লোকজনকে এই প্যাড দিতেন, বদলে নিতেন টাকা। ধরে নেওয়া যাক, কেউ হাসপাতালে ভর্তি হবেন তিনি ওই লেটার প্যাড ব্যবহার করতেন। আবার এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসার কাজে প্রভাব খাটানোর জন্যও রণজিৎ ওই লেটারপ্যাড বিক্রি করতেন বলে জানা গিয়েছে। বৈধ কাজ হোক বা অবৈধ, সব ক্ষেত্রে এগুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে দাবি পুলিশের।

সম্প্রতি এই খবর যায়, মন্ত্রী মলয় ঘটকের অফিসে। এরপরই মন্ত্রীর অফিসের তরফ থেকে রণজিতের এই ব্যবসা আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মন্ত্রীর আসানসোল অফিসের কর্মী শম্ভু শুক্লা এরপর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জামুড়িয়া থানায়। প্যাড বিক্রি করার অভিযোগে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই তৎপর হয় পুলিশ।

এরপরই পুলিশ রণজিৎ রায়কে গ্রেফতার করেছে। রণজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭ ও ৪৬৮ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছে। আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হলে তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর লেটারপ্যাড বা স্ট্যাম্প কোথা থেকে এল ওই ব্যক্তির কাছে, নাকি গোটাটাই ভুয়ো, তা তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

Next Article