Siddiqullah Chowdhury: মমতার লেখা বই পড়েনই না তৃণমূল নেতাকর্মীরা! আক্ষেপ গ্রন্থাগার মন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 20, 2021 | 8:35 PM

Minister Siddiqullah Chowdhury: "সেদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছিলাম, 'দিদি আপনার নেতারাই সেই বই পড়ে না। আমি আর কাকে কী বলব!”

Siddiqullah Chowdhury: মমতার লেখা বই পড়েনই না তৃণমূল নেতাকর্মীরা! আক্ষেপ গ্রন্থাগার মন্ত্রীর
মমতার বই কেন পড়েন না, প্রশ্ন গ্রন্থাগার মন্ত্রীর।

Follow Us

আসানসোল: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৮০ থেকে ৯০ টি বই লিখেছেন। কিন্তু তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই সেই বই পড়েন না”। সরকারি বই মেলার উদ্বোধনী মঞ্চে খেদ জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury। শনিবার আসানসোলের পোলোগ্রাউণ্ডে পশ্চিম বর্ধমান পঞ্চম বইমেলার উদ্বোধন হল। এবার রাজ্যের প্রথম সরকারি বইমেলা শুরু হল আসানসোল থেকেই। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও মন্ত্রী মলয় ঘটক সেই মেলার উদ্বোধন করেন।

সেখানে সিদ্দিকুল্লা এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঘুরপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বইয়ের প্রচার করে যান। মন্ত্রীর কথায়, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হয়ে মন্ত্রী, আমার মলয়দা-ও মন্ত্রী। এখানে তৃণমূলের ছেলেরাও আছেন। কেউ কাউন্সিলর, কেউ বা অন্য কিছু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮০ থেকে ৯০টি বই লিখেছেন। কিন্তু আমরা কতজন সেই বই পড়েছি?”

তিনি আরও যোগ করেন, “সেদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছিলাম, ‘দিদি আপনার নেতারাই সেই বই পড়ে না। আমি আর কাকে কী বলব!”

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘জীবনে হতাশ হবেন না। ভয় না পেয়ে মুক্ত কণ্ঠে কাজ করতে হবে।’ আর সেই ভয়মুক্ত হতে তাঁর লেখা বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। মমতার কথায়, “জীবনে হোঁচট খেয়েছি। হোঁচট খেতে খেতে কোন সময় কোন কথাটা বললে সমাধান হতে পারে সে নিয়ে আমার নিজের অনেকগুলি বই লেখা আছে। আমি নিজের জীবন অভিজ্ঞতা দিয়ে করেছি।”

শতাধিক বই লিখেছেন মমতা। সেই বইগুলি থেকে জীবনে চলার পাঠ নেওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,”ভাববার কথা’, ‘কথার কথা’ বা ‘আলোকবর্তিকা’-এগুলিতে আমার অনেক উদ্ধৃতি দেওয়া আছে। জানতে পারবেন, কোন সময় কী করলে আপনি সফল হবেন।”

কিন্তু এদিন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর আক্ষেপ, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই দলনেত্রীর লেখা বই পড়েন না। তিনি আরও জানান, “৩৫ হাজার দুষ্প্রাপ্য বইকে আমরা ডিজিটালাইজড করেছি। তথ্য আছে, এমন আরও বই যা মানুষকে সমৃদ্ধ করবে, সেগুলোকেও ডিজিটাল ব্যবস্থায় আনা হবে। এই জেলায় ৬১ টি গ্রন্থাগার আছে। তার মধ্যে অনেক জায়গায় লাইব্রেরিয়ান নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ৭৩৭টি পদে লোক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে সেই পদের নিয়োগ চালু হয়ে যাবে। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরিতে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজারের মতো বই ছিল। কিন্তু সাড়ে ৩৮ হাজারের মতো বই আমফানের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগে নষ্ট হয়ে গেছে।”

এই বইমেলা আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এর আগের পশ্চিম বর্ধমান জেলার বইমেলায় সারা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Students Credit Card: ‘ছাত্র দিবসে’ ২০ হাজার স্টুডেন্স ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল সরকার

Next Article