দুর্গাপুর: গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দফতরে। পুড়ে গিয়েছে একাধিক নথি। সোমবার রাত ২টোর পর আগুন লাগে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকার এই দফতরে। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ১২টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিরোধীদের সন্দেহ, রাজ্যজুড়ে নানা দুর্নীতির রহস্যভেদ হচ্ছে। কোনও নথি সরাতে ইচ্ছাকৃত আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল কি না তাও খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে তারা।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দুর্গাপুর দফতরে আগুন লাগার পর সকাল গড়িয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চলে। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত কুলিংয়ের কাজ করেছে দমকল বাহিনী। এই আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রায় ১০ হাজার স্কোয়ার ফিটের এডিডিএ দফতরের তৃতীয় তলের সমস্ত নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণচন্দ্র ঘরুইয়ের দাবি, “এডিডিএর এত বড় অফিসে এই আগুন লাগা, তদন্তসাপেক্ষ তো বটে। এয়ারপোর্ট, ডিভিসি থেকে দমকল এনে আগুন নেভাতে হচ্ছে। তারমানে এত বড় অফিসে পরিকল্পনা নেই ঠিকমতো। আর এমন কিছু নেই তো এখানে সিবিআই, ইডির ভয়ে যা পুড়িয়ে দেওয়া হল। তদন্ত হওয়া উচিত।”
অন্যদিকে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “কিছু তো একটা কারণ আছেই। আমাদের বেশ কিছু বিষয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এডিডিএ চেয়ারম্যানই কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন কিছু ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। এডিডিএ চেয়ারম্যান যদি সন্দেহপ্রকাশ করেন তাহলে তো অনেক কিছুই মনে হয়। বিভিন্ন জায়গায় পুরদফতরের কাজকর্ম নিয়ে ইডি, সিবিআই চলছে। তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে কি না, সবই মানুষ ভাবছে।” এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত হোক না। তাহলেই তো সবটা সামনে এসে যাবে। এসব হাওয়া গরম করা কথা বলে লাভ নেই।”