পশ্চিম বর্ধমান: ভরা বর্ষায় জলের তলায় গোটা এলাকা। পুজোর আগে থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে পানীয় জলের (Drinking Water) জোগান। প্রায় ২০ দিন ধরে পুকুরের জলই ভরসা। কিন্তু, এভাবে কতদিন? ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেননি এলাকাবাসী। উপপ্রধানকে কাছে পেয়েই ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন সকলে। রানীগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নপুর গ্রামের ঘটনা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বন্যা পরিস্থিতির পরে ফের দুর্যোগের ঘনঘটায় রীতিমতো সঙ্কট দেখা দিয়েছে পানীয় জলের (Drinking Water) । এলাকায় মোট যে ১০ টি পাম্প রয়েছে তার মেরামতি করা যাচ্ছে না। বন্যার জেরে প্রায় সবকটিই অচল। অগত্যা পুকুরের ঘোলা জলেই চাতকের চেষ্টা মেটাচ্ছেন সকলে। শুধু তাই নয়, প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
বিক্ষোভরত এক গ্রামবাসীর কথায়, “সাইক্লোনের প্রভাবে এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়। অতিমাত্রায় বৃষ্টির জল বেড়ে নুনিয়া নদীর জল ঢুকে যায় গ্রামের মধ্যে। পানীয় জল তো ছিলই না। জল নামার পরে দেখা যায়, বন্যার দাপটে পাইপলাইন ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু, পঞ্চায়েতকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। প্রশাসনের তরফে কেউ এগিয়ে আসেনি। টানা ২০ দিন ধরে আমরা পুকুরের ঘোলা জল খেয়ে যাচ্ছি। এরপর যদি কোনও বাচ্চা অসুস্থ হয়, তাহলে কি নেতারা তার দায় নেবেন! তাই আমরা বাধ্য হয়ে পথ অবরোধ করেছি।”
এদিন, গ্রামের পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে কাছে পেয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। তৃণমূল উপপ্রধানের দাবি, পাইপলাইন ভেঙে জল ঢুকে যাওয়ায় এই বিপত্তি। পানীয় জলের পাইপ লাইন ভেঙে যাওয়ায় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পানীয় জলের সঙ্কটের বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েতে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে দ্রুত মেরামতি করা যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য়, বঙ্গে কিছুদিন আগেই নিম্নচাপের প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতি দেখা যায়। ভেসে যায় একের পর এক গ্রাম। জলমগ্ন হয়ে যায় গোটা এলাকা। বঙ্গ বন্যা পরিস্থিতির কারণ হিসেবে ডিভিসিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ঝাড়খণ্ডের বোঝা বইতে হচ্ছে বাংলাকে।” বন্যা দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কয়েকজন মন্ত্রীকে।
এদিকে, লক্ষ্মীপুজোর আগে ভাসবে বাংলা। বড় দুর্যোগের পূর্বাভাস শুনিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। তবে শুধু বাংলা নয়, দুর্যোগের ত্রিফলায় আগামী কয়েকদিনে বিদ্ধ হতে চলেছে দেশের একাধিক রাজ্য। জোড়া নিম্নচাপ, সঙ্গে পশ্চিমী ঝঞ্ঝায় পূর্ব ভারতের বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের কেরল, তামিলনাড়ুতেও বিপদের ঘ নঘটা। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশেও প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP: ভাড়া নিয়ে বিবাদ, বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তালা দিলেন দলের ‘বেসুরো’ বিধায়ক!
আরও পড়ুন: Asansol double Murder: নিজের স্ত্রীকেও খুন করতে গিয়েছিলেন হারু! বারাবনির জোড়া খুন-কাণ্ডে চাঞ্চল্য