আসানসোল: সরকারি গ্রন্থাগার (Library) ভবনে তৃণমূলের (TMC) দলীয় কর্মীসভা তীব্র বিতর্ক শুরু হল কুলটিতে (Kulti)। দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আনতে একসময় আসানসোল পুরনিগমের উদ্যোগে প্রায় ৬০ টি ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছিল “কমপিটিটিভ লাইব্রেরি”। আর সেখানেই দলীয় কর্মীসভা করে বিতর্কে জড়াল শাসক দল তৃণমূল। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই ভবনেই কর্মীসভার আয়োজন করে তৃণমূল। তা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বুধবার জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় সহ অন্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই কর্মীসভা হয় সরকারি গ্রন্থাগার ভনবে। এত কমিউনিটি হল থাকা সত্ত্বেও কেন একটা সরকারি গ্রন্থাগার ভবনকে দলীয় কাজে ব্যবহার করা হল? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কটাক্ষ, সরকার আর দল মিশিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে ওই ওয়ার্ডের তৃনমূল নেতা শিবদাস রায় জানান, পুরনিগমের কাছে অনুমতি নিয়েই নাকি এই ভবনটি ব্যবহার হয়েছে। একই সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার আরও দাবি, ‘যেখানে গ্রন্থ নেই, তার নাম গ্রন্থাগার হয় কী করে?’
যদিও পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য মীর হাসিম জানান, ”এটা করা যায় না। কিন্তু পুরপ্রশাসকের অনুমতি নিয়েই এই কর্মীসভা করা হয়েছে”। অন্যদিকে পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আবার দাবি, ”ওটা কোনও গ্রন্থাগার নয়। কিন্তু গ্রন্থাগারের কাজে লাগানোর ইচ্ছে ছিল। এখনো তা করে ওঠা যায়নি। ভ্যাকসিনের কাজেও ওই ভবন ব্যবহার করা হয়েছে। আমার অনুমতি নিয়ে, নির্ধারিত ভাড়া জমা দিয়ে ওরা মিটিং করেছে।” যদিও তৃনমূলের এই অজুহাতকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি। তাদের দাবি, গ্রন্থাগারকেও পার্টি অফিস করে ব্যবহার করছে পার্টি অফিস।
এ নিয়ে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, তিনিই ওই গ্রন্থাগারগুলির উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেন, “যার যেরকম রুচি সে সেরকম কাজ করবে। আমার ইচ্ছা ছিল এই ধরনের লাইব্রেরি তৈরি করা উচিত যাতে ছেলেমেয়েরা নিজেদের তৈরি করে চাকরি পাবে,বর্তমানে যারা আছেন তারা ভাবছেন। এসব করার দরকার নেই পার্টি করলেই হবে। দেওয়াল লিখলেই হবে আর পাঁচশো টাকা লক্ষীর ভাণ্ডার পেলেই হবে”।