আসানসোল: বারবার আদালতে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হল না। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরই সায়গল হোসেনকে নিয়ে দিল্লির পথে রওনা হল পুলিশ। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বের করে শুক্রবারই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে। এদিন তাঁকে ছোট প্রিজন ভ্যানে করে আসানসোল স্টেশনের পথে রওনা করানো হয়। সায়গলের নিরাপত্তায় রয়েছে একজন সাব ইন্সপেক্টর, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও ৫ সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল।
শিয়ালদহ-দিল্লি জলন্ধর এক্সপ্রেসে করে নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে। গত বুধবারই আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের জেল সুপার পুলিশ আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারকে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্তকে দিল্লি পাঠানোর জন্য কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল চিঠিতে। সেই মতো আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্ট রায় দেয় সায়গলকে কয়েকদিনের জন্য দিল্লি এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। পরে সায়গল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এরপরই নিয়ে যাওয়া হল তাঁকে।
চার্জশিটে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছিল, বীরভূম করিডর দিয়ে যে গরু পাচার হত, তার জন্য অনুব্রতর হয়ে টাকা নিতেন সায়গল। তাই তাঁকে জেরা করলে একাধিক সূত্র সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডি-র নজরে রয়েছে সায়গলের বিপুল সম্পত্তি। বাড়ি, জমি মিলিয়ে সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একজন কনস্টেবল পদে চাকরি করে কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।