আসানসোল: সায়গল হোসেনকে দিল্লি পৌঁছতে হবে। আর তার জন্য চাই কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা। তাই আগেভাগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিলেন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের জেল সুপার। বুধবারই এই চিঠি তিনি পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছেন। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের পক্ষ থেকে সায়গলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়েছে।
দিল্লির নিম্ন আদালত রায় দিয়েছিল, ইডি দিল্লিতে এনে সায়গলকে হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। পরে দিল্লি হাইকোর্টেও সায়গলের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সুদীপ কুমার জৈনের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, গরু পাচার মামলায় সায়গলকে ৬-৭ দিন দিল্লিতে এনে জেরা করতে পারবে ইডি। তবে সায়গলকে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকেই। সে কথা উল্লেখ ছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোটের অর্ডারে। আর এবার দিল্লি হাইকোর্টও সায়গলকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় শুরু হয়েছে তোড়জোড়।
তবে মনে করা হচ্ছে, দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর কথা ভাবছেন সায়গলের আইনজীবী।
এদিন আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডির আধিকারিক ছাড়াও আইওএ অফিসার ও সায়গলের আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। একই ঘরে উপস্থিত থাকলেও, আইনজীবীকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে হবে, যাতে তিনি কোনও প্রশ্ন শুনতে না পারেন।
গরু পাচার মামলায় সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার আর্জি জানিয়ে আসানসোল আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সময় বিচারক পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। পরে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা দায়ের করা হয় ইডির তরফে। শুনানির প্রথম পর্বে ধাক্কা খায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর সায়গলের দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি প্রায় পাকা হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।