Bengal Flood: আঙুল সেই ডিভিসি-র দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ‘ম্যানমেড’ তত্ত্ব ‘হাতিয়ার’ তাঁর মন্ত্রীর-ও?

Manmade Flood: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সুরে সুর মিলিয়ে তিন মন্ত্রী বললেন, রাজ্যকে না জানিয়েই ডিভিসি জল ছেড়েছে। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার জন্য জেলায় জেলায় এই দুরবস্থা হয়েছে।

Bengal Flood: আঙুল সেই ডিভিসি-র দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর 'ম্যানমেড' তত্ত্ব 'হাতিয়ার' তাঁর মন্ত্রীর-ও?
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে ডিভিসিকে দায়ী করলেন তিন মন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 10:05 PM

আসানসোল: বৃষ্টি (Rain) থেমেছে। নেমেছে গাড়ুই ও নুনিয়া নদীর জল। কিন্তু থেকে গেল তাণ্ডবের ছাপ। আসানসোলের (Asansole) সেই বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak) ও জাভেদ খান (Javed Khan)। রেলপাড় এলাকা তাঁরা ঘুরে ঘুরে দেখেন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান ও পূর্ত-আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দু’জনেই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি (DVC)-র ওপর তোপ দাগেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সুরে সুর মিলিয়ে তাঁরা বলেন, রাজ্যকে না জানিয়েই ডিভিসি জল ছেড়েছে। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার জন্য জেলায় জেলায় এই দুরবস্থা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান থেকে একই দাবি করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-ও (Subrata Mukherjee)। সবার মুখেই শোনা গেল এই বন্যা ম্যানমেড (Manmade)!

আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ জল কবলিত আসানসোলের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। যার মধ্যে ছিল রেলপাড় ও আসানসোল বাজার। সেনরাল রোডের আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার গেস্ট হাউসে আসানসোলের পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে মন্ত্রী জাভেদ খান। ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। মন্ত্রী জাভেদ খান ও মলয় ঘটক প্রায় এক সুরে বললেন, এর আগে আসানসোলে এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। ১৯৭৮ সালে যখন বন্যা হয়, তখনও এত বৃষ্টি হয়নি। আসানসোলে তো রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও আসানসোল পুরনিগমের সহযোগিতায় জলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করেছে। তাঁরা আরও বলেন, যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এই নিয়ে তদন্ত করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে তা পাঠাবে। সেই তালিকা মতো সরকারের নির্দিষ্ট করা টাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যাবে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীও। শুক্রবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বর্ধমানে সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করতে এসে একথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন রাজ্যকে ঠিকমত না জানিয়েই জল ছাড়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন,  মানুষের কারণে এমন হলে তাকে ম্যানমেড বন্যাই বলা যায়। না জানিয়ে জল ছাড়া আর টানা বর্ষণে বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকেছে। এতে তাঁরা উদ্বিগ্ন। যাতে শস্যের বড় রকমের ক্ষতি না হয় সে জন্য উদ্বেগ আরও বেশি বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। মানুষকে সচেতন না করার সুযোগ দিয়ে অনেক পরিমাণে জল ছাড়ার নামই ম্যানমেড বন্যা। তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি বাঁকুড়ায় ত্রাণ নিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: Goutam Deb: গৌতমের ডানা ছাটল তৃণমূল, দলের চাপে এখন কোণঠাসা প্রাক্তন মন্ত্রী